Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউন

লকডাউনের জের, টানা ২১ দিন গাড়িতেই বাস দুই ব্যবসায়ীর!

প্রশাসনের কাছে বাড়ি ফেরার আরজি দুই ব্যবসায়ীর।

Two business person living in car amid lockdown in Gujrat
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 15, 2020 1:46 pm
  • Updated:April 15, 2020 2:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ২১ দিন গাড়িতে থেকে সচেতনতার নজির গড়লেন রাজকোটের দুই ব্যবসায়ী। লকডাউন শুরুর আগে গুজরাটের সুপারির বাজারে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন এই দুই ব্যবসায়ী। এরপর লকডাউনের ইতিহাস সকলেরই জানা। কিন্তু দুই ব্যবসায়ী আস্তানা হয়ে ওঠে তাঁদের গাড়ি। জায়গা না পেয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আতঙ্কে গাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন দুজনে।

২১ দিন শেষ অপেক্ষা আরও ১৯ দিনের। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে যেখানে আছেন সেখানেই থেকে যান। তাই গুজরাটের সুপারি বাজারে এসে কোথাও জায়গা না পেয়ে গাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন দক্ষিণা কানাড়া জেলার পুট্টুরের দুই ব্যবসায়ী। গাড়িই ঘর, গাড়িতেই বিছানা, গাড়িতেই কাটছে দিন-রাত্রি। প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন স্থানীয় একটি রেস্তরাঁর শৌচাগার। কিন্তু এভাবে আর কতদিন থাকা সম্ভব? সারাদিন গাড়িতে থাকলেও রান্না করে খাওয়ার রসদ ফুরিয়ে আসছে তাঁদের কাছে। এভাবে দিন কাটানো অসহনীয় হয়ে উঠছে তাঁদের জন্য। তাই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন, যেভাবে হোক বাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে। তাঁদের এই দুর্দশার খবর পেয়েই জেলার কমিশনার ভালসাদে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু থাকার জায়গাই নয়, বিনামূল্যে তাঁরা যেন খাবার পান সেদিকেও নজর রাখার কথা জানিয়েছেন। তবে ভালসাদে এখনও পর্যন্ত করোনার প্রকোপ না পড়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছেন এই দুই ব্যবসায়ী। জানা যায়, দুই ব্যবসায়ী আশিক হুসেন ও মহম্মদ থাকিন ২০ মার্চ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু গুজরাটের সুপারি বাজারে পৌঁছনোর আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয় ২১ মার্চ। এরপর লকডাউন জারি হলে তাঁরা বাড়িও ফিরে আসতে পারেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগী প্রশাসন, কলকাতায় বসল ‘স্যানিটাইজার টানেল’]

অন্যদিকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে এই দুই ব্যবসায়ীর। হুসেনের কথায়, “স্থানীয় এক সমাজসেবী সংস্থার কর্ণধার কাসাফ সায়েদ, প্রতিদিন খাবার আর ওষুধপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এলাকায় কোনও লজ খুঁজে পায়নি। ফলে এতদিন গাড়ির ভিতরই ঘুমাচ্ছি। স্থানীয় এক হোটেলের শৌচালয় ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছি। অনেক মানুষের কাছেই সাহায্য চেয়ে আর্জি জানিয়েছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যও কেউ এগিয়ে আসেনি। এখন শুধু প্রশাসনই ভরসা তারা অনুমতি দিলে বাড়ি ফিরতে পারব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:করোনা উপসর্গ থাকায় মিলল না অ্যাম্বুল্যান্স! হাসপাতালের গাফিলতিতে মধ্যপ্রদেশে মৃত ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ