Advertisement
Advertisement
Indian Navy

‘ড্রাগন’ বধে এবার ‘তুশীল-তমাল’! সাগরে শক্তি বাড়াতে রাশিয়া থেকে আসছে হাতিয়ার

গত মাসে ভারত মহাসাগরে চারটি চিনা 'নজরদারি' জাহাজের গতিবিধি নজরে আসে।

Two Russian-made warships set to join Indian Navy

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 8, 2024 4:17 pm
  • Updated:April 8, 2024 4:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি। কোনও বেগতিক দেখলেই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবার বেজিংকে রুখতে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। হাতে আসছে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক দুটি রণতরী। চলতি বছরেই দেশে আসবে ‘তুশীল’ ও ‘তমাল’।    

বহুদিন আগেই এই যুদ্ধজাহাজ ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গত দুবছরে মস্কো লড়াইয়ের ময়দানে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় রণতরীগুলো তৈরির কাজ পিছিয়ে যায়। তবে এবার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি নৌসেনার চিফ অফ মেটেরিয়েল ডিরেক্টরেটের দল জাহাজ তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে রাশিয়া গিয়েছিল। যা নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নৌসেনার কর্তারা জানান, “তুশীল নামের যুদ্ধজাহাজটির নির্মাণকাজের দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম রণতরীটি জলে নেমে গিয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী তাতে নানা রকম পরীক্ষানিরিক্ষা চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে সেগুলো আমাদের হাতে আসবে।” জানা গিয়েছে, যুদ্ধজাহাজগুলো নাম দেওয়া হয়েছে আইএনএস তুশীল ও আইএনএস তমাল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গরিবদের খাবার কেড়ে জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়ায়’, কংগ্রেসকে তোপ যোগীর]

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তশালী করতে রাশিয়ার সহযোগিতায় আরও দুটি রণতরী তৈরি হচ্ছে দেশের মাটিতে। ভারতের শ্রেষ্ঠ জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডে সেই জাহাজ তৈরির কাজও দ্রুত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিকেরা। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই সেগুলোকে জলে নামিয়ে পরীক্ষানিরিক্ষা শুরু হবে। তার পর ২০২৬ সালের মধ্যে ওই দুটি জাহাজও নৌসেনার বহরে যুক্ত হয়ে যাবে।

Advertisement

বলে রাখা ভালো, গত মার্চ মাসে ফের ভারত মহাসাগরে এসেছিল চিনা ‘নজরদারি’ জাহাজ। তাও আবার একটি-দুটি নয় চার-চারটি। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লির। আশঙ্কা করা হচ্ছে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’র জন্যই সেগুলোকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি জাহাজ আবার শ্রীলঙ্কার খুব কাছেই অবস্থান করছে। ফলে ভারতের অনুরোধ উপেক্ষা করে পড়শি দেশ সেগুলোকে নোঙর করার অনুমতি দেয় কিনা সেদিকেও এখন কড়া নজর রাখা হচ্ছে। 

[আরও পড়ুন: তৃণমূল নয়, বাংলায় ১ নং বিজেপি! লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের]

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার বন্দরে সামুদ্রিক গবেষণার জন্য শিয়াং ইয়াং হং ৩ নামের জাহাজ নোঙর করার অনুমতি চেয়েছিল চিন। কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে কলম্বোতে সুবিধা করতে না পেরে মালদ্বীপের কাছে ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ জাহাজটিকে নোঙর অনুমতি চেয়েছিল বেজিং। মালদ্বীপের ‘চিন-পন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু সেই অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে মাথা ব্যথা বাড়ে ভারতের। এবার ‘ড্রাগন’কে চাপে ফেলতে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক রণতরী দিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে নৌসেনা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ