Advertisement
Advertisement

Breaking News

সংবিধান থেকে বাদ যাবে না ধর্মনিরপেক্ষতা, সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি নাকচ কেন্দ্রের!

Union minister says ‘No’ to claims of Hindu Rastra by Sanatan Sanstha
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 28, 2018 1:27 pm
  • Updated:August 28, 2018 1:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সনাতন সংস্থার এই দাবি দীর্ঘদিনের। তাদের দাবি, সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। তার পরিবর্তে ভারতকে ঘোষণা করতে হবে হিন্দু রাষ্ট্র। সোমবার নতুন করে ফের এই দাবি তোলে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। একটি সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থার তরফে নতুন করে এই দাবি জানানো হয়। সনাতন সংস্থা বলে, তাদের দাবি সাংবিধানিক। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সংবিধান হিন্দুদের আলাদা করে নিরাপত্তা দেয় না। তাই দ্রুত ভারতকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংস্থাটির এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি সরিয়ে ফেলার প্রশ্নই ওঠে না।

[‘মোদির ভাষণের জন্যই কি দেরিতে ঘোষণা বাজপেয়ীর মৃত্যুর খবর?’]

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সনাতন সংস্থা বলে, “এর আগে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংশোধনী আনা হয়েছিল। সুতরাং, সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংশোধনী আনাটা নতুন কিছু নয়। তাছাড়া পাকিস্তানের মতো মুসলিম প্রধান দেশে মুসলিমদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে ভারতে তা হবে না কেন?” এই প্রশ্নের জবাবে আতাওয়ালের সাফ জবাব, “ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ভারতকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সাহায্য করছে। তাই কোনও সংগঠনের দাবি মেনে তা সরানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আথাওয়ালের এই বয়ানেই পরিষ্কার দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি যে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তোড়জোড় চালাচ্ছে, তা আপাতত অধরাই থাকছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার পথে হাঁটবে না মোদি সরকার।

Advertisement

[মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠি মনমোহন সিংয়ের, কিন্তু কেন?]

তবে, সনাতন সংস্থার তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, দাবি না মানা হলে তাঁরা আন্দোলনের পথে হাঁটবে। এর আগেও একাধিক সমাজ-বিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল এই সংগঠনরে বিরুদ্ধে। নরেন্দ্র দাভোলকর, এবং গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যুর পিছনেও এরাই দায়ী বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দেন, সনাতন সংস্থা যদি প্ররোচনামূলক কাজকর্ম বন্ধ না করে, তাহলে তাদের পুরোপুরি নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হতে পারে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ