BREAKING NEWS

১৫ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আরজি সিবিআইয়ের, পিছিয়ে গেল কুলদীপের সাজা ঘোষণা

Published by: Subhamay Mandal |    Posted: December 17, 2019 3:32 pm|    Updated: December 17, 2019 3:32 pm

Unnao rape: Court defers quantum of punishment announcement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিছিয়ে গেল উন্নাওয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারের সাজা ঘোষণা। মঙ্গলবার দিল্লির তিসহাজারি আদালতের বিশেষ সিবিআই এজলাসে সাজা ঘোষণা করার কথা ছিল। আপাতত ২০ ডিসেম্বর সাজা ঘোষণা হবে সেনেগারের। সোমবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। 

মঙ্গলবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন করেন, সেনেগারকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। দোষীকে অপেক্ষাকৃত কম শাস্তি দেওয়া হলে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। পরবর্তীকালে যাতে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সেনেগারের সাজা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে, সেই অনুরোধই রেখেছেন আইনজীবী। অন্যদিকে, দোষী বিধায়কের আইনজীবী আদালতে জানান, কুলদীপের বর্তমান আর্থিক অবস্থা খুব সঙ্গীন। তাই তিনি নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে অপারগ। একইসঙ্গে আইনজীবী এও আবেদন করেন যে, জেলে কুলদীপের ব্যবহার খুই ভাল ছিল তাই তাকে যেন কম শাস্তি দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: কোনও পড়ুয়া নয়, জামিয়া মিলিয়ার অশান্তিতে ধৃত ১০ জনই ‘বহিরাগত’!]

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় গোড়া থেকেই নাম উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের বাঙ্গেরমউয়ের চারবারের বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে একাধিক পন্থা অবলম্বন করে বিধায়ক। এমনকী সাক্ষী লোপাটের জন্য ষড়যন্ত্র করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ধর্ষিতার বাবা ও আরেক আত্মীয়কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়।

কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময়ে আদালতে কুলদীপের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। এই মামলার জেরে কুলদীপের বিধায়ক পদ বাতিল হয়ে যায়। দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাকে। কুলদীপকে সাহায্য করার অভিযোগে মামলা হয় তার সঙ্গী শশী সিংয়ের বিরুদ্ধেও। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ধর্ষণে বাধা পেয়ে তরুণীর গায়ে আগুন ধরাল প্রতিবেশী, হাসপাতালে মৃত্যু]

ধর্ষণ মামলায় পুলিশের ভূমিকায় আস্থা রাখতে না পারায় সিবিআইয়ের আবেদন জানায় কিশোরীর পরিবার। তা মঞ্জুর হয়। তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু সোমবার চূড়ান্ত শুনানিতে সিবিআইয়ের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারকরা। কেন মামলার চার্জশিট দিতে দেরি করেছেন তদন্তকারীরা, এই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মামলার নিষ্পত্তিতে দু বছর সময় লাগল, তার জন্য পরোক্ষে সিবিআইয়ের শ্লথগতিকে দায়ী করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে