সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:থেমে গেল লড়াই। দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। শুক্রবার সকাল থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অগ্নিদগ্ধ তরুণী।
হায়দরাবাদ গণধর্ষণে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের খবর শুনে শুক্রবার সকালে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল তামাম দেশবাসী। কিন্তু তারপরই উন্নাওয়ের নির্যাতিতার এহেন অভিজ্ঞতার কথা শুনে আরও একবার শিউরে উঠছেন সকলে। লখনউয়ের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে-লড়তে উন্নাওয়ের সেই বছর তেইশের যুবতী পুলিশকে তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাতেই সব শেষ।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। কাকভোরে বাইশওয়াড়া বিহার স্টেশনের দিকে রওনা হতেই হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ তাঁর পথ আটকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই যুবতীর মাথায় আঘাত করে, পরে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপও মারে। আঘাতের চোটে মাটিতে পড়ে যেতেই তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাহায্যর জন্য চিৎকার করতে করতে ছুটতে থাকেন। অবশেষে প্রায় এক কিলোমিটার পর তিনি রবীন্দ্রপ্রকাশ সিংয়ের দেখা পান।
এক বছর আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের ওই যুবতীকে। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে গ্রামেরই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যায়। আদালতে যাওয়ার পথে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সেই অভিযুক্তরাই।