সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়াশোনা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এদিকে নামের আগে রয়েছে ডাক্তারের তকমা। গলায় স্টেথস্কোপ ঝুলিয়ে দিব্যি রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করছে সে। রয়েছে নিজস্ব নার্সিংহোমও। এমন ঘটনাই এবার প্রকাশ্যে এল উত্তরপ্রদেশে। ওই ভুয়ো শল্য চিকিৎসকের এহেন কারবারে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের প্রশাসন। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক (সিএমও)।
[শহরে পা রাখছে লালফৌজের প্রতিনিধি দল, বৈঠক ফোর্ট উইলিয়ামে]
নাম নরদেব সিং। পেশায় ডাক্তার। উত্তরপ্রদেশের সামলি জেলায় ‘আর্য়ান হসপিটাল’ নামের বিশাল একটি নার্সিংহোম রয়েছে তার। সেখানে অনেক জটিল অস্ত্রোপচারও হয়। অভিযোগ, হাসপাতালে শল্য চিকিৎসা করছে মাধ্যমিকের গণ্ডী না পেরনো নরদেব। বেশ কয়েক বছর ধরেই রমরমিয়ে চলছে তার ব্যবসা। গত বছর ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জন রোগীর। উঠেছে একের পর একের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। এমনকী খুনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবে ‘রাজনৈতিক কানেকশন’ থাকায় বহাল তবিয়তেই রয়েছে ওই জাল ডাক্তার। সদ্য এমনই এক অস্ত্রোপচার করে নরদেব। অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞর জায়গা নেয় তার কম্পাউন্ডার। ওই অস্ত্রোপচারের ক্যামেরাবন্দি করে কেউ বা কারা। তারপরই সেই ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়া হয় সামলি জেলার মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিকের কাছে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করেন সিএমও অশোক কুমার। অভিযোগ, হাসপাতালে গেলে তদন্তকারীদের কাজে বাধা দেন বিজেপি নেতা পবন তারার। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। একরকম গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তদন্তকারীদের। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললেও এখনও অবাধে ঘুরছে অভিযুক্ত জাল চিকিৎসক। উল্লেখ্য, গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর পর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। তদন্ত ও পদক্ষেপের আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি প্রাক্তন সমাজবাদী সরকারের দুর্নীতির কথা ফলাও করে আলোচনা করে যোগী সরকার। তবে এবার বিজেপি নেতারা নাম সামনে আসায় কার্যত কাঠগড়ায় সরকারই।
[অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায়, উদ্ধার ভাই-বোন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.