সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের অজুহাতের শেষ নেই। বিশেষ করে সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে। কারণে-অকারণে হাজার খানেক অজুহাত খাড়া করে ফেলা মানুষের সহজাত গুণ। কিন্তু তা বলে বিয়ে ভাঙার দায় বর্তাবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর! এমন কথা কস্মিনকালে কেউ শুনেছেন বলে তো মনে হয় না। কিন্তু এমনটাই ঘটে গিয়েছে কানপুরে। কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই ভেঙে গিয়েছে বিয়ে।
[চলন্ত ট্রেনে তরুণীর সামনেই হস্তমৈথুন, অভিযোগে হেসেই খুন পুলিশ]
কেমন করে ঘটল এমন ঘটনা? এমনিতে সব ঠিক চলছিল। কানপুরের সরকারি চাকুরে পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ব্যবসায়ী পাত্রের। দিনক্ষণ সবই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কেবল কোন পক্ষের তরফ থেকে কত খরচ করা হবে, বিয়ের আসরের কোন দায়িত্বগুলি বরপক্ষের হবে, আর কোন দায়গুলি কনেপক্ষ নেবে, তা ঠিক করতেই স্থানীয় এক মন্দিরে মিটিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বর ও কনে-সহ হাজির হয়েছিলেন দুই পক্ষের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা। সেখানেই ওঠে দেশে অর্থনীতির প্রসঙ্গ। আর এতেই বিপত্তি বাধে। কারণ, সরকারি চাকুরে পাত্রীর মতে দেশের বেহাল অর্থনীতির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন ব্যবস্থা। এদিকে ব্যবসায়ী পাত্র আবার প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোর সমর্থক। মোদির বিরুদ্ধে একটি কথাও তিনি শুনতে নারাজ ছিলেন। তর্ক অচিরেই বিবাদের রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায়, পাত্র-পাত্রী দু’জনেই বেঁকে বসেন। তৎক্ষণাৎ পরিবার ও আত্মীয়দের সামনে জানিয়ে দেন, এ বিয়ে সম্ভব নয়। যুবক-যুবতীকে বোঝানোর প্রচুর চেষ্টা করেন আত্মীয়-পরিজনরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। শেষমেশ বিয়ে ভেস্তেই যায়।
[হিন্দি পাঠ্যপুস্তক থেকে গালিবকে ছেঁটে ফেলতে উদ্যোগী আরএসএস]
সদ্য ইজরায়েল সফর থেকে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচুর কাজের ব্যস্ততা রয়েছে তাঁর। সারা দেশের শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার দায়ও তাঁর কাঁধেই। কিন্তু এমন অযাচিত দায়ও যে তাঁর কাঁধেই এসে পড়বে, তা বোধহয় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেও আঁচ করা সম্ভব নয়।
[সর্বনাশ! ফাঁস হল ১২ কোটি Jio গ্রাহকের আধার নম্বর!]