সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে হাঁসফাঁস দিল্লি। কীভাবে বাতাস থেকে বিষ কমানো যাবে তার খোঁজে ঘুম ছুটেছে দিল্লি প্রশাসনের। দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশও দূষণে নাজেহাল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই অবস্থার মোকাবিলায় কৃত্রিম বৃষ্টির দাওয়াই দিলেন। এই বিষয়ে কানপুর আইআইটির গবেষকদের উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানান যোগী।
[হাসপাতালে ভর্তি মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রবধূ, ছুটি দেওয়া হল অধিকাংশ রোগীকে]
বেজিংয়ে দূষণ রুখতে কৃত্রিম মেঘ এবং বৃষ্টির ব্যবস্থা আছে। অনেকটা ওই ধাঁচে যোগী আদিত্যনাথ বিকল্প উপায়ে বৃষ্টি চাইছেন। সোজা কথা বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বাড়িয়ে দূষণ বাগে আনতে হবে। এই নিয়ে কানপুর আইআইটির গবেষকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে অরবিন্দ কুমারকে। শুধু বৃষ্টি আনার দায়িত্ব দিয়ে থামা নয়, দূষণ রুখতে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে অন্যতম শস্যক্ষেত পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় নতুন ফসল বোনার আগে ক্ষেত পোড়ানো হয়। যার ধাক্কায় এখন দিল্লির বিভিন্ন অংশ ধোঁয়ায় ঢাকা। এটা যাতে উত্তরপ্রদেশে না ঘটে তার জন্য ফসল পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি আবর্জনা এবং বাতিল জিনিসপত্র যাতে না পোড়ানো হয় এর জন্য সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হবে। রেডিও এবং টিভিতে এই নিয়ে দেওয়া হবে বিজ্ঞাপন। পুরনো যেসব গাড়ি রয়েছে তাদের খুব শীঘ্রই বিদায় করার নোটিস দেওয়া হবে। লখনউ, এলাহাবাদের মতো শহরে দীর্ঘদিন ধরে যেসব এলাকায় নির্মানকাজ চলছে তা আর বেশি দিন চলতে দেওয়া হবে না বলে ঠিক হয়েছে।
[OMG! পর্ন সাইটে ঢুকতে গেলেই বেজে উঠবে ভক্তিগীতি!]
সরকারের এই পদক্ষেপে বিরোধীরা খুব একটা খুশি নয়। সমাজবাদী পার্টির পরামর্শ, শীত পড়ার অনেক আগেই এই ব্যবস্থা নিলে ভাল হত। কবে বৃষ্টির ব্যবস্থা হবে সেই অপেক্ষায় না থেকে দূষণ কীভাবে আটকানো যায় তা যোগী সরকার করলে মানুষের মঙ্গল হবে।