সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় ভরাডুবি হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। দলের বিশ্রী ফলের জেরে কংগ্রেস নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন দুই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পদত্যাগ করেছেন একাধিক রাজ্যের জেলা সভাপতিরা। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন আমেঠির জেলা সভাপতি।
পদত্যাগী নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম রাজ বব্বরের। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল কংগ্রেস। তাতেও ভরাডুবি হয়েছে। তারপরই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন রাজ বব্বর। কিন্তু, সেসময় তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি রাহুল গান্ধী। রাজ বব্বরের নেতৃত্বেই ফের লোকসভা নির্বাচনের আশি আসনে লড়ে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো নেতারা কংগ্রেসের হয়ে জোরকদমে প্রচারও করেন। কিন্তু, কোনও কিছুতেই ফল হয়নি। কংগ্রেস আশি আসনের মধ্যে জিতেছে মাত্র একটিতে। তাও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর আসন রায়বরেলি। খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারতে হয়েছে আমেঠিতে। রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটের হার নেমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশে। লাগাতার এই ব্যর্থতার দায় নিয়েই এবার পদত্যাগ করলেন রাজ বব্বর।
রাজ বব্বর একা নয়, পদত্যাগ করেছেন ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়েকও। একসময় ওড়িশায় দ্বিতীয় শক্তি ছিল কংগ্রেস। কিন্তু গত কয়েক বছরে কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। বিধানসভা এবং লোকসভা দুই নির্বাচনেই তৃতীয় হয়েছে কংগ্রেস। তাও উল্লেখযোগ্য আসন পায়নি। সেই দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন নিরঞ্জন পট্টনায়েক। আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর হারের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন কংগ্রেস জেলা সভাপতিও। উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেখানেই এই পদত্যাগপত্রগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। রাহুল গান্ধী নিজেও পদত্যাগ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.