সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়ল শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে দূরে সরিয়ে বিতর্কিত ভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষেই মত দিল মুসলিম সংগঠনটি।
মঙ্গলবার, রাম জন্মভূমি বিবাদের সমাধানে একটি নথি প্রকাশ করে শিয়া বোর্ড। ‘এক রাস্তা একতা কি আউর’ (একতার দিকে একটি পথ) নামের ওই নথিটির প্রচ্ছদে রাম মন্দিরের ছবি রয়েছে। বোর্ডের প্রধান ওয়াসিম রিজভি জানিয়েছেন, সেটির পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ ঠিক করবেন আইনজীবিরাই। তারপর সেটি সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের ৫ তারিখ থেকে শীর্ষ আদালতে রাম মন্দির মামলার শুনানি শুরু হবে।
[মন্দির ভেঙেই গড়া হয়েছে বাবরি, আদালতকে জানাল শিয়া বোর্ড]
সাংবাদিকদের রিজভি জানান, বিতর্কিত ভূমিতেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হোক। ফৈজাবাদ ও অযোধ্যা ছাড়া অন্য যে কোনও জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করলেই চলবে। দস্তাবেজে এই কথাই বলা হয়েছে। এছাড়াও মসজিদ নির্মাণ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও রয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’-সহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনগুলির সঙ্গেও আলোচনা চালানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের প্রস্তাবিত রাম মূর্তির জন্য রুপোর তির দান করতেও উদ্যোগী হয়েছে মুসলিম সংগঠনটি। আসাদউদ্দিন ওয়েসি থেকে শুরু করে একাধিক মুসলিম নেতা রাম মূর্তির বিরোধিতা করলেও চিঠি লিখে যোগীকে সমর্থন জানায় শিয়া বোর্ড।
প্রসঙ্গত, হিন্দুদের মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। প্রায় ৭০ বছর আগে আদালতের রায়ে বাবরি মসজিদের দখল হারায় শিয়া বোর্ড। বিতর্কিত মসজিদটির দখল চলে যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। তারপরই ১৯৪৬ সালে আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিয়া বোর্ড। রাম মন্দির-সহ একাধিক ইস্যুতে সম্প্রতি শিরোনামে শিয়া বোর্ড। কয়েকদিন আগেই মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধ ভেঙে কবরস্থান বানানোর দাবি তুলেছিল বোর্ড।
[ভেঙে ফেলা হোক হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধ, দাবি মুসলিম সংগঠনের]