সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’। যেখানে শ্বশুরবাড়িতে এসে শৌচাগার তৈরির জন্য লড়াই করতে হয়েছিল ভূমি পেড়নেকরকে। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। কিন্তু সিনেমার গল্পটিরই বাস্তবে দেখা মিলল উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামে। তবে একটু ভিন্ন স্বাদে। শ্বশুরবাড়িতে শৌচালয় না থাকলে, সেখানে কোনও মতেই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত।
বাড়িতে শৌচালয় না থাকলে প্রকাশ্যে শৌচকর্মে যেতে হয় মহিলাদের। এতে তাঁদের সম্মানহানির আশঙ্কাও থাকে। আর তাই উত্তরপ্রদেশের বাঘপত জেলার বিগওয়াড়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান অরবিন্দ সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, যে বাড়িতে শৌচালয় নেই, সেই বাড়িতে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এখানেই শেষ নয়, যাঁরা এই নিয়ম মানবেন না, তাঁদের একঘরে করে দেওয়াও হবে বলে জানান তিনি। আরও বলেন, ‘খোলাস্থানে শৌচকর্ম করলে মহিলাদের সম্মানহানি ঘটবে, তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কিন্তু কারও যদি শৌচালয় তৈরির আর্থিক সামর্থ্য না থাকে সেক্ষেত্রে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অরবিন্দের বক্তব্য, ‘কোনও পরিবারের শৌচালয় তৈরির করার মতো আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে, তাঁরা সরকারের থেকে সাহায্য নিতেই পারে।’
এর আগে একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হরিয়ানার ইমামরা। বাড়িতে শৌচাগার না থাকলে সে বাড়িতে বিয়ে নয়, সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। বলেছিলেন, বাড়ি ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে করতে হলে দেখাতে হবে গাঁয়ের মোড়লের শংসাপত্র। যেখানে লেখা থাকবে, এ বাড়িতে শৌচাগার আছে। আর তার মানে, এ বাড়িতে আপনি আপনার ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দিতেই পারেন। এমনই বিধি চালু হয়েছিল হরিয়ানার নুহ্ জেলার ১১০টি গ্রামে। নিদান দিয়েছিলেন গ্রামের প্রায় ১২০০ জন ইমাম। আর এবার একই পথ অনুসরণ করল উত্তরপ্রদেশের বিগওয়াড়া গ্রাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.