সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে হজযাত্রীদের ভরতুকি প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ বছর থেকেই হজযাত্রায় ভরতুকি পাবেন না মুসলিমরা। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, তোষণ ছাড়াই সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে চায় কেন্দ্র। হজযাত্রায় ভরতুকি টাকায় সংখ্যালঘুদের বিশেষ মহিলাদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হবে। এদিকে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতার করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে হজে ভরতুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিএম।
[ভারতের দাবিকে স্বীকৃতি সৌদির, একাই জলপথে হজে যেতে পারবেন মহিলারা]
কেন্দ্রে এনডিএ ক্ষমতায় আসার বছর দুয়েক আগেই হজে ভরতুকি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে হজযাত্রীদের ভরতুরি প্রত্যাহার করে নিতে হবে। গত বছরের মে মাসে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। মঙ্গলবার হজযাত্রীদের ভরতুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। তিনি বলেছেন, তোষণ নয়, সংখ্যালঘুদের প্রকৃত উন্নয়ন করতে চায় কেন্দ্র। তাই হজে ভরতুকি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ভরতুকির টাকায় সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মহিলাদের শিক্ষায় খরচ করা হবে। জানা গিয়েছে, এই ভরতুকি প্রত্যাহার ফলে ৭০০ কোটি টাকা বাঁচবে কেন্দ্রীয় সরকারের।
[মহিলাদের হজযাত্রা প্রসঙ্গে মোদিকে তীব্র আক্রমণ মুসলিম ল বোর্ডের]
মুসলিমদের কাছে পবিত্র তীর্থস্থান সৌদি আরবের মক্কা শহর। মুসলিম সমাজে মক্কায় তীর্থ করতে যাওয়ার রেওয়াজ বহুদিনের। এই রীতি বা রেওয়াজই হজযাত্রা নামে পরিচিত। এখন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নের মন্ত্রকের অনুমতি সাপেক্ষে হজযাত্রা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। স্বাধীনতার পর থেকে এই হজযাত্রার জন্য ইসলাম ধর্মালম্বীদের ভরতুকিও দিত কেন্দ্রীয় সরকার। মোদি জমানায় সেই ভরতুকিতে ইতি পড়ল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরোধী শিবিরে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ভরতুকির টাকায় হজ করতে যান বহু গরিব ধর্মপ্রাণ মুসলিম। ভরতুকি বন্ধ হয়ে গেলে, বিপদে পড়বেন তাঁরা। যদিও হজে ভরতুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
[বিচিত্র সমীকরণ! তোগাড়িয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ হার্দিকের]
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক মেহরাম বা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া মুসলিম মহিলাদের হজযাত্রা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এখন থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি মুসলিম মহিলারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া দলবদ্ধভাবে হজে যেতে পারবেন।
[বাবার বিয়ে আটকাতে সদ্যোজাত পুত্রসন্তান চুরি ২ মেয়ের!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.