সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতার দরবার। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত এই সভার আয়োজন করেন জনগণের অভিযোগ শোনার জন্য। আর সেই সভাতে অভিযোগ জানাতে এসেই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়তে হল স্কুলের প্রিন্সিপালকে। মূল ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এক মধ্যবয়স্কা শিক্ষিকা। আর তাতে বেজায় চটেছেন ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত। উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষিকাকে হাতেনাতে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই সঙ্গে পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দেন ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করার।
[‘যোগীকে সঙ্গে নিয়েই তাজমহল ভাঙতে যাব’, বিতর্কিত মন্তব্য মুসলিম নেতার]
পরে খবর নিয়ে জানা যায়, উত্তরা বহুগুণা নামের ওই শিক্ষিকা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশী জেলার নওগাঁও এলাকায় একটি স্কুল চালান তিনি। উত্তরা বহুগুণার দাবি, গত প্রায় ২৫ বছর ধরে তাঁকে উত্তরাখণ্ডের প্রান্তিক এলাকায় পোস্টিং দিয়ে রেখেছে সরকার। তিনি বারবার বদলির জন্য আবেদন করেছেন, তা মান্যতা পায়নি। তাই বাধ্য হয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনের জন্য তিনি যান ‘জনতার দরবারে’। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত তাঁর আবেদন নাকচ করেন। এরপরই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তর্ক শুরু করেন ওই শিক্ষিকা। রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে কুকথা বলতেও শোনা যায় তাঁকে। এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাওয়াত সঙ্গে সঙ্গে মহিলার সাসপেনশন এবং গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন। এই ঘটনার ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
#WATCH Uttarakhand Chief Minister Trivendra Singh Rawat directs police to take a teacher into custody after she protested at ‘Janata Darbar’ over issue of her transfer. CM Rawat suspended the teacher and asked her to leave. (28.06.18) pic.twitter.com/alAdCY74QK
— ANI (@ANI) 29 June 2018
একজন শিক্ষিকার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়ার একাংশ। একজন শিক্ষিকার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী আরও সংযত ব্যবহার করা উচিত ছিল না, প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তাছাড়া জনতার দরবার যেহেতু মানুষের অভিযোগ শোনার জন্যই খোলা হয়েছে, সেখানে একজন নাগরিক অভিযোগ জানাতে আসবেন সেটাই তো স্বাভাবিক, এতে মেজাজ হারানোটা কী আদৌ শোভা পায় মুখ্যমন্ত্রীর? প্রশ্ন নেটিজেনদের। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর দাবি করছে, জনতার দরবার শুধু নাগরিকদের অভিযোগ জানানোর জায়গা, সরকারি কর্মীদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য আলাদ বিভাগ রয়েছে। সেখানেই আবেদন জানানো উচিৎ ছিল উত্তরার।