Advertisement
Advertisement

Breaking News

গো-রক্ষায় আলাদা বাহিনী তৈরি করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার

প্রতিটি গো-রক্ষা বাহিনীতে থাকবে এক ইন্সপেক্টর-সহ ১১ জন পুলিশকর্মী।

Uttarakhand: CM Trivendra Rawat forms Govansh squad to check on cow smuggling

ফাইল ফটো

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 22, 2017 7:25 am
  • Updated:October 22, 2017 7:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনরক্ষী বাহিনীর ধাঁচে এবার গো-রক্ষা বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। গাড়োওয়াল ও কুমায়ন ডিভিশনে বেআইনি গরু পাচার রুখতে এই বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে। একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ড প্রোটেকশন অফ কাউ প্রোগেনসি অ্যাক্ট, ২০০৭ কার্যকর করবে সরকার। সেই আইনে অনুসারে এই গো-রক্ষা বাহিনী তৈরি করা হবে।

[তাজমহল বিতর্কে ড্যামেজ কন্ট্রোলে এবার আগ্রা সফরে যোগী আদিত্যনাথ]

Advertisement

গত মে মাসে দেশের পশুহাট বা পশুবাজারে গবাদি পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। আর এই নির্দেশিকা জারির পর দেশ জুড়ে যেমন স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বেড়েছে, তেমনি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে গরুকে বাঁচাতে তৎপরতাও চোখে পড়ছে। বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে ৯০ লক্ষেরও বেশি গবাদি পশুকে চিহ্নিত করতে নির্দিষ্ট নম্বর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। যোগীর রাজ্যে আবার গরুদের জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়েছে। তাহলে বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, এই গো-রক্ষা বাহিনী বা গোবংশ কনজারভেশন স্কোয়াডে এক ইন্সপেক্টর-সহ ১১ জন পুলিশকর্মী থাকবেন। মূলত উত্তরাখণ্ডের গাড়োওয়াল ও কুমায়ন ডিভিশন বেআইনি গরু পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চালাবেন বাহিনীর সদস্যরা। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও ক্ষমতা থাকবে গো-রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের।

Advertisement

[সোশ্যাল মিডিয়াই মৌলবাদের বীজ বুনছে উপত্যকায়, উদ্বিগ্ন সেনাপ্রধান]

বস্তুত, রাজ্যের পুলিশবাহিনীকে ইতিমধ্যেই বাছাই করা পুলিশকর্মীদের নিয়ে এই গো-রক্ষা বাহিনী তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, উত্তরাখণ্ডে তো  গো-হত্যা বা গরু পাচার বেআইনি। আর সেই আইন মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য পুলিশ তো রয়েইছে। তাহলে আলাদা করে গো-রক্ষা বাহিনীর তৈরির সিদ্ধান্ত কেন?  উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, গত কয়েক বছরে গাড়োওয়াল ও কুমায়ন ডিভিশনে বেআইনি গো-হত্যা ও গরু পাচার ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে। আইন-শৃঙ্খলাজনিত অন্য সমস্যা সামলে, গরুদের বাঁচাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। তাই পুলিশকর্মীদেরই নিয়ে আলাদা গো-রক্ষা বাহিনী তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

[কাশ্মীরে ফের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, নিকেশ এক জঙ্গি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ