সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও দুঃসংবাদ এয়ারসেল গ্রাহকদের কাছে। আইডিয়ার পর এবার ভোডাফোনের কোনও নম্বরেও ফোন করতে পারবেন না এয়ারসেল গ্রাহকরা। এয়ারসেলের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভোডাফোন। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘ইন্টারকানেক্ট সার্ভিস’। কোটি কোটি টাকা বকেয়া থাকায় ভোডাফোন এই সার্ভিস বন্ধ করল। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরেই এয়ারসেল গ্রাহকরা কোনও ভোডাফোন নম্বরে ফোন, এসএমএস করতে পারছেন না।
[দু’ঘণ্টায় পাঁচ পেগ মদ! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন?]
ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের লোকেরা বলছেন, চেন্নাই কেন্দ্রিক টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার এখন অর্থাভাবে ধুঁকছে। দ্রুতই তারা নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করতে চলেছে। তার জন্য আইনি প্রক্রিয়া এখন খতিয়ে দেখছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, নিজেদের সবরকম সম্পত্তিও বিক্রি করে দেনা শোধ করে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে এয়ারসেল। সেক্ষেত্রে গ্রাহক ও পরিকাঠামো তারা বিক্রি করতে পারে ভারতী এয়ারটেলকে। এতেই কি চটেছে ভোডাফোন? উত্তর পাওয়া যায়নি কোনওপক্ষের তরফেই। কিন্তু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেরিয়ার ভোডাফোনে আপাতত ফোন বা এসএমএস করতে পারছেন না এয়ারসেল গ্রাহকরা। যদিও প্রতিযোগী সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্তাদের মতে, অন্যান্য সংস্থাগুলিও দ্রুতই এয়ারসেলের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করবে। কারণ, দেওয়ার জন্য এয়ারসেলের কাছে কোনও টাকাই নেই আর। ৬০ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় সম্প্রতি এয়ারসেল থেকে কোনও ফোন করা বা ধরা যাচ্ছে না আইডিয়া নম্বরে।
বাজারে প্রায় ১৫,৫০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে মালয়েশিয়ার সংস্থাটির। দ্রুতই জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালের কাছে নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করতে চলেছে তারা। শোনা যাচ্ছে, নিজেদের প্রায় ৮ কোটি গ্রাহক ও পরিকাঠামো এয়ারটেলকে বিক্রি করে ঋণের বোঝা-মুক্ত হতে চায় সংস্থাটি। ২০১৬-তে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে এয়ারসেলের ফোর-জি স্পেকট্রাম কেনে এয়ারটেল। এয়ারটেলের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ জিও ও ভোডাফোন-আইডিয়ার সংযুক্তিকরণ। তবে, দিনের শেষে এত সব কঠিন শব্দ বা বাণিজ্যিক চুক্তিতে এয়ারসেল গ্রাহকদের মন নেই। তাঁদের এখন মন খারাপ। সাধারণত, মোবাইল কানেকশনের সঙ্গে মানুষের বেশ কিছু স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। যেমন একসময় ‘টাটা ইন্ডিকম’ বা ‘বিএসএনএল দোস্তি’র সঙ্গে ছিল। তেমনই প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে এয়ারসেল একসময় হাতে চাঁদ এনে দিয়েছিল! জিও এ দেশে আসার ঢের আগেই মাসিক নির্দিষ্ট কিছু টাকার বিনিময়ে গোটা মাস বিনামূল্যে কথা বলার সুযোগ এনে দিয়েছিল এয়ারসেল। পরে জনপ্রিয়তার সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে রিচার্জ ভাউচারের দাম। কিন্তু তবু এক সময় ওই ফ্রি টকটাইমই বহু প্রেমে ইন্ধন জুগিয়েছিল।