সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরম অমানবিক বললেও কম। পড়ুয়াদের শাস্তি দেওয়ার বেনজির ঘটনা ঘটল উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশে। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহপাঠীর সম্পর্কের গুজব ছড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার জন্য স্কুলের ৮৮ ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে শাস্তি দিল তিন শিক্ষক। কস্তুর্বা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে হেনস্তার এই চরম নিদর্শনের ঘটনায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে অরুণাচলের পাপুম পারে জেলার সাগালিতে। ২৩ তারিখের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২৭ তারিখ। তারপরই নির্যাতিতা পড়ুয়ারা দ্বারস্থ হয় সাগালি ছাত্র সংসদের। তারাই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশে এফআইআর দায়ের করে।
অভিযোগ, দুজন সহ-শিক্ষক এবং একজন জুনিয়র শিক্ষক ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৮৮ জন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে গোটা স্কুলের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক ছাত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য লেখা এক টুকরো কাগজ উদ্ধারের জেরেই এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। জেলার এসপি তুম্মে আমো এফআইআরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি এখন মহিলা থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। মহিলা থানার আধিকারিক গোটা বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্যাতিতা ছাত্রী, অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে জানা গিয়েছে। জেলার ছাত্র সংসদ ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রী তার সহপাঠী ও প্রধান শিক্ষককে নিয়ে একটি কাগজে কিছু অশালীন মন্তব্য লেখে। তারপরই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় স্কুলে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার জন্য ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৮৮ জন পড়ুয়ার কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়। তারপর এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ছাত্র সংসদের সভাপতি নাবাম তাডোর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ শাস্তি দেওয়ার আগে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রয়োজনই মনে করেনি। রাজ্য কংগ্রেস ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তদন্তের দাবি তুলেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তামিলনাড়ুর থিরুভাল্লুর জেলার একটি স্কুলে স্রেফ পড়াশোনায় খারাপ হওয়ার অজুহাতে শৌচাগার সাফাইয়ে বাধ্য করা হয় ছাত্রীদের। ভিডিওয় দেখা যায়, কয়েকজন ছাত্রী হাতে একটুকরো কাপড় নিয়ে স্কুলের নোংরা শৌচাগার সাফ করছে। তাদের গায়ে স্কুলেরই ইউনিফর্ম। এক ছাত্রী শৌচাগারের মেঝে পরিষ্কার করছে, আর এক ছাত্রী জল ঢেলে নোংরা ধুচ্ছে। স্কুলেরই প্রধানশিক্ষিকা ওই ছাত্রীদের জোর করে শৌচাগার সাফ করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীদের মাথা মেঝেতে ঠেকিয়ে রাখার শাস্তিও দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। ওই ছাত্রীরা জানিয়েছেন, প্রধানশিক্ষিকা তাদের এই কাজ করতে বাধ্য করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.