Advertisement
Advertisement

গভীর রাতে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করল ‘ভূত’, কাঠগড়ায় স্কুলের ওয়ার্ডেন

ওয়ার্ডেনের দাবি, পুরো ঘটনাই ছাত্রীদের মনগড়া।

Warden molests students in UP school
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 23, 2018 11:42 am
  • Updated:May 23, 2018 11:42 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গভীর রাতে হস্টেল চত্বরে ভূতের আনাগোনা। কখনও সন্দেহজনক গন্ধ, কখনও সন্দেহজনক শব্দ। আবার কখনও কখনও ভুতের পোশাকে মানুষের চলাফেরা। সন্ত্রস্ত স্কুলের প্রায় শখানেক ছাত্রী। উত্তরপ্রদেশের মীরাটের কস্তুরভা গান্ধী গার্লস হাইস্কুলে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রেতাত্মার। ভয়ে স্কুল ছাড়তে উদ্যত বেশ কিছু ছাত্রী। তাদের নাকি শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করছে ওই অশরীরী। কিন্তু এই অশরীরীর নেপথ্য রহস্য জানলে রাগ হবে আপনারও।

[দিল্লির এইমস-কে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার তসলিমা নাসরিনের]

পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলের ওয়ার্ডেনই ভূত সেজে তাদের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করছেন। মীরাটে অবস্থিত ওই বোর্ডিং স্কুলটিতে মোট শখানেক ছাত্রী পড়াশোনা করে। রয়েছেন ২ জন শিক্ষিকা এবং একজন ওয়ার্ডেন। ছাত্রীদের অভিযোগ রাতের অন্ধকারে এই ওয়ার্ডেনই তাদের ভূত সেজে ভয় দেখায়। মাঝরাতে সন্দেহজনকভাবে ভুতের মতো পোশাক পরে হস্টেল চত্বরে ঘোরাফেরা করে। নিজে থেকেই সন্দেহজনক শব্দ করে ওয়ার্ডেন পুনম ভারতী। ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ছড়ানো হত বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধীও। ছাত্রীদের অভিযোগ আতঙ্ক সৃষ্টি করে আদপে তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই ওয়ার্ডেন। তাদের পোশাক ধরে টানাটানি করা হয়, আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করা হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ। এমনকি হস্টেল চত্বরে বহিরাগতদেরও নিয়ে আসত পুনম। অভিযোগ শিক্ষিকাদের পুরো ঘটনা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ‘ভূতের’ অত্যাচার কমানো যায়নি। সংন্ত্রস্ত ছাত্রীদের অনেকে হস্টেল ছাড়তেও উদ্যত হয়েছে। ওয়ার্ডেন পুনমের আতঙ্কে দিশেহারা ছাত্রীরা শেষমেশ জেলা বিদ্যালয় আধিকারিককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

[তামিলনাড়ুতে আন্দোলনরত জনতার উপর পুলিশের গুলি, মৃত অন্তত ৯]

এদিকে ওয়ার্ডেনের দাবি, পুরো ঘটনায় ছাত্রীদের মনগড়া। কারও ব্যক্তিগত রোষের শিকার হচ্ছেন তিনি। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন ওই ওয়ার্ডেন। জেলা আধিকারিকের তরফে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। মীরাটের জেলা শিক্ষা আধিকারিক সত্যেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে ডিস্ট্রিক্ট স্কুল কো-অর্ডিনেটর এবং মহকুমা শিক্ষা আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁর ধারণা, শিক্ষিকা এবং ওয়ার্ডেনের দ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা। ঘটনার সত্যতা অবশ্য সামনে আসবে পুর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ