নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আনলক ২ পর্বের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে তা দেশজুড়েই হবে নাকি করোনা সংক্রমণের নিরিখে প্রথমসারিতে থাকা রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে কিছু বাধানিষেধ-সহ বহাল রাখা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পরেই নেওয়া হবে। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যগুলি থাকবে। তবে বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার জন্য সময় দেওয়া হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ নবান্ন। মোদির ওই বৈঠকের সময়ই নবান্নে করোনা পরিস্থিতি আলোচনার জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নবান্নের বৈঠকে কয়েকজন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞকেও ডাকা হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে মোদির বৈঠকে হাজির হবেন কিনা তা অনিশ্চিত। তিনি হয়তো তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বৈঠকে পাঠাবেন। বাংলাকে বৈঠকে এইভাবে ব্রাত্য করায় ক্ষোভ বিভিন্ন মহলেও। নবান্নেরও বক্তব্য, বাংলাকে একইসঙ্গে কোভিড ও আমফান, দুটি দুর্যোগ সামলাতে হচ্ছে। ফলে বাংলার বক্তব্যের গুরুত্ব অনেক বেশি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দিয়ে বিরোধী কণ্ঠ খর্ব করা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। প্রধানমন্ত্রীর এর আগের বৈঠকে সবচেয়ে সরব ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আজ যেমন মোদির বৈঠকের দিকে নজর গোটা দেশের, তেমনই মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাও বড় প্রশ্ন।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠকে মোদি জানান, দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে আনলক ওয়ান পর্ব কাজে দিয়েছে। মোদি বলেন, “কিছুদিন আগেই আনলক ওয়ান পর্ব চালু হয়েছে। কয়েক সপ্তাহে সব পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরেছেন। বিদেশ থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। কয়েক সপ্তাহেই অর্থব্যবস্থায় ‘গ্রিন শুটস’ (পুনরুজ্জীবনের চিহ্ন) দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। সারের বিক্রি বেড়েছে।” অর্থাৎ, মোদি ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন, ফের দেশব্যাপী লকডাউনের রাস্তায় হাঁটবে না কেন্দ্র। রাজ্যগুলি তাদের নিজেদের পরিস্থিতি যাচাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.