Advertisement
Advertisement
চিকিৎসক ধর্ষণ

ধর্ষকরা যেন আইনি সহায়তা না পায়, আর্তি হায়দরাবাদে নির্যাতিতার পরিবারের

অভিযোগ জানাতে গেলে এক থানা থেকে অন্য থানায় দৌড় করিয়েছে পুলিশ, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা।

we went from one police station to another,Says Telangana vet's Family
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 30, 2019 12:11 pm
  • Updated:November 30, 2019 4:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পুলিশের গাফিলতি না থাকলে হয়তো বাঁচানো যেত ধর্ষিতা চিকিৎসককে। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে ওই চিকিৎসক নিখোঁজ হওয়ার পরই তাঁরা থানায় যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের অভিযোগ না নিয়ে, এক থানা থেকে অন্য থানা দৌড় করিয়েছে। ওই এলাকাটি কোন থানার অধীনে পড়বে, তা ঠিক করতেই প্রচুর সময় চলে গিয়েছে পুলিশের। ওই চিকিৎসকের পরিবারের আরজি, ধর্ষকদের যেন কোনওরকম আইনি সহায়তা না দেওয়া হয়।

বুধবার রাতে, তেলেঙ্গানার সাধনগরের সামশাবাদের কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক চিকিৎসককে। বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী চিকিৎসক হায়দরবাদের কাছে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় নিজের স্কুটিটি রাখেন। সেখান থেকে কাছেই একজন ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যান। রাত নটার সময় টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছান তিনি। দেখেন, তাঁর স্কুটির একটি চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। ঠিক ততক্ষণ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল ওই তরুণীর বোনের। তিনি শেষবার ফোনে ভয় লাগছে বলে জানান বোনকে। এরপর থেকে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় ওই চিকিৎসকের। ফোনে না পেয়ে কিছুক্ষণ পরই তাঁর খোঁজে থানায় যায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, সেখানে গিয়ে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হারাষ্ট্রের আস্থাভোটের আগে ‘দাদা’ মোদিকে ধন্যবাদ উদ্ধবের, ফের শুরু জল্পনা]


ধর্ষিতার বাবা বলছেন, “রাত দশটার পর আমরা প্রথমে ওই টোল বুথে খোঁজ নিই। সেখানে খোঁজ না পেয়ে চলে যায় থানায়। কিন্তু, আমাদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরানো হল। পুলিশ ঠিকই করতে পারল না, ঘটনাটি তাঁদের থানার এলাকায় ঘটেছে কিনা। রাত তিনটের সময় আমি অন্তত ২ জন কনস্টেবলের সাহায্য চেয়েছিলাম। সেটাও পাইনি। শেষে নিজেই মেয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়ি।” প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কি তাহলে গাফিলতি করেছে? গভীর রাতে তরুণী নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত না করে একে অপরের কোর্টে বল ঠেলাটা কতটা সমর্থনযোগ্য ?

Advertisement

ধর্ষিতার পরিবারের দাবি, ওই মামলার দ্রুত শুনানি করতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের মাধ্যমে শুনানি করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ধর্ষণে অভিযুক্তরা যাতে কোনওরকম আইনি সহায়তা না পায় তাও নিশ্চিত করার অনুরোধ রেখেছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ