Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেন পালস ক্যান্ডি বিক্রিতে সবার উপরে?

পালসের দাম গোড়া থেকেই রাখা হয় ১ টাকা৷ এও রীতিমতো ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া সিদ্ধান্ত৷ পালস বাজারে লঞ্চ করার আগে প্রায় সব ক্যান্ডির দামই ছিল ৫০ পয়সা৷

Why and how pulse candy gaining profit
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 14, 2016 9:41 pm
  • Updated:June 20, 2019 3:47 pm

ব্র্যান্ড হিসেবে মোটে ১৪ মাসের শিশু৷ কিন্তু মোটেও টলমল পায়ে হাঁটছে না পালস ক্যান্ডি৷ ইতিমধ্যেই ক্যান্ডি জগতে সে প্রায় বিপ্লব এনেছে৷ ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০ কোটির মাইলফলক৷ কিন্তু কী জাদুতে পালস সবার উপরে?

পালসের এই সাফল্যের নেপথ্যে আছে ভারতীয় জনতার রুচি ও স্বাদের আহ্লাদ৷ তবে পালস প্রস্তুতকারক সংস্থা যে ক্যান্ডিপ্রিয় জনতার পালসটি হাতের তালুর মতোই চিনেছিলেন তা বলাই বাহুল্য৷ এই নিবিড় পর্যবেক্ষণই পালসকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের শিখরে৷

Advertisement

কী সেই পর্যবেক্ষণ?

Advertisement

দেখা গিয়েছে, ভারতীয় জনতার কাছে কাঁচা আম বিশেষ প্রিয়৷ সে আম পান্না হোক কিংবা কাঁচা আমের আচার যাই হোক না কেন৷ পালস যে ধরনের ক্যান্ডি, তাকে বলা হয় ‘হার্ড বয়েলড ক্যান্ডি’ ৷ এই ধরনের ক্যান্ডির ৫০ শতাংশই দখল করে আছে আমের স্বাদ বা গন্ধের ক্যান্ডি৷ এর পিছনে আছে ভারতীয় উপমহাদেশের জলহাওয়া৷ প্রধানত উষ্ণ জলবায়ুর কারণেই মানুষ মুখে এমন কিছু রাখতে পছন্দ করেন, যাতে মুখ শুকিয়ে না যায়৷ জিভে জল আনা স্বাদের নিরিখে কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার৷ জনতার এই রুচি মেনে তুরুপের তাস হিসেবে বেছে নেওয়া কাঁচা আমের স্বাদ৷

দ্বিতীয়ত, পালসের দাম গোড়া থেকেই রাখা হয় ১ টাকা৷ এও রীতিমতো ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া সিদ্ধান্ত৷ পালস বাজারে লঞ্চ করার আগে প্রায় সব ক্যান্ডির দামই ছিল ৫০ পয়সা৷ কিন্তু বাজারে খুচরো পয়সার সঙ্কট ক্যান্ডির বাজারকে সমস্যার মুখে ফেলেছিল৷ খুচরো দেওয়ার বদলে দোকানিদের লজেন্স দেওয়া ক্যান্ডির মর্যাদাও যেন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিল৷ কমেছিল আলাদা করে কেনার প্রবণতা৷ পালস সবার আগে এই সমস্যা দূর করে দেয়৷ পাশাপাশি ক্যান্ডির ওজনও বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ সাধারণত সব ক্যান্ডির ওজন থাকে ২-২.৫ গ্রাম৷ সেখানে পালসের ওজন রাখা হয় ৪ গ্রাম৷ অন্তত মিনিট পাঁচেক মুখে থাকে এটি৷ একে তো খুচরোর ঝামেলা নেই, দ্বিতীয়ত ১ টাকার বিনিময়ে পাওয়া জিনিসে স্বাদে ওজনে প্রাপ্য বাড়ায় খুশি হয় ক্যান্ডিপ্রিয় মানুষ৷ এই ছোট্ট কায়দাতেই বাজিমাত করে পালস৷

মুখে মুখে পালস থাকার ফলে খবরও ছড়িয়েছিল মুখে মুখেই (ওয়ার্ড অফ মাউথ প্রমোশন)৷ পালসের বিজ্ঞাপনে বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল এই মানুষের মুখের কথা৷ সঙ্গী হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া৷ ‘পালস অফ ইন্ডিয়া’ ক্যাচলাইনে আক্ষরিক অর্থেই ক্যান্ডিটি মানুষের কাছে তাই হয়ে রয়েছে৷ আর তাই পালসের এগিয়ে যাওয়া রাস্তায় ধারেকাছেও আপাতত নেই ক্যান্ডিদুনিয়ার দ্বিতীয় কোনও সদস্য৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ