Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৈরি করতে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা, কেন ভাঙা হচ্ছে নয়ডার গগনচুম্বী টুইন টাওয়ার?

প্রথমে এলাহাবাদ হাই কোর্ট, পরে সুপ্রিম কোর্টে চলে টুইন টাওয়ার নিয়ে মামলা।

Why Are Noida's Twin Towers Being Demolished today?
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:August 28, 2022 10:02 am
  • Updated:August 28, 2022 5:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গগনচুম্বী অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দিতে লাগছে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক। এই কাজে সময় লাগবে মাত্র ৯ সেকেন্ড। তার জন্য গত বেশ কিছুদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে নয়ডা (Noida) প্রশাসন। এতদিনে সকলের জানা, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে ৪০ তলা যমজ ভবন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, কোটি কোটি টাকায় তৈরি টুইন টাওয়ার ভাঙা হচ্ছে কেন? কেন এমন নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত?

জোড়া বহুতলের একটির নাম অ্যাপেক্স, উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির নাম সিয়ানে, উচ্চতা ৯৭ মিটার। যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ, যে সংস্থা এমারল্ড কোর্ট চত্বরের টুইন টাওয়ার তৈরি করেছিলেন, তাদের তা নিজেদের খরচে ভাঙতে হবে। এই বিষয়ে সাহায্য করবে নয়ডা প্রশাসন। কিন্তু কেন?

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাহুলকে তোপ দেগে দল ছাড়লেন আরও এক প্রাক্তন সাংসদ, রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস]

জানা গিয়েছে, সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি শুরুতে ১৪ তলা ভবনের অনুমোদন দিয়েছিল। পরে কীভাবে যেন ৪০ তলা টুইন টাওয়ারের অনুমোদন আদায় করে নির্মাণ সংস্থা। যদিও তা মানতে চায়নি হাউজিংয়ের সোসাইটির সদস্যরা। ওই জায়গায় গগনচুম্বী টুইন টাওয়ার হাউজিংয়ের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে বলে দাবি করা হয়। যদিও সেকথা মানতে চায়নি নির্মাণকারী সংস্থা। এরপরই মামলা ওঠে আদালতে। ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টে (Allahabad High Court) মামলা করে এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি। টুইন টাওয়ারের নির্মাণ বেআইনি বলে দাবি করা হয়। এর ফলে ২০১৪ সালে হাউজিং সোসাইটির পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট। টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।

Advertisement

এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে নির্মাণ সংস্থা। প্রায় নয় বছর ধরে সেখানে মামলা চলে। অবশেষে গত বছর আগস্ট মাসে এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। আগামী তিন মাসের মধ্যে টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও বিশাল অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিতে এক বছর লাগিয়ে দেয় নির্মাণ সংস্থা।

[আরও পড়ুন: ৯ সেকেন্ডে মাটিতে মিশবে নয়ডার টুইন টাওয়ার, ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে তিন মাস]

রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ মাটিতে মিশবে নয়ডার জোড়া মিনার। সুরক্ষার খাতিরে রবিবার সকাল থেকেই জোড়া টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে সমস্ত বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের আগেভাগে বন্ধ থাকবে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। বন্ধ হবে পাইপলাইনে এলাকায় গ্যাস সরবরাহ। এক সময় নিরাপত্তারক্ষীরাও টুইন টাওয়ার এলাকা ছাড়বেন। এরপরই টেপা হব বোতাম। বিপদ এড়াতে তৈরি থাকছে দমকল থেকে অ্যাম্বুলেন্স। কাছেই অবস্থিত একটি হাসপাতালে রবিবারের জন্য ইতিমধ্যে ৫০টি বেড বুক করে রাখা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ