Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, কেন রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দকে বাছল বিজেপি?

মোদী-শাহের সব থেকে বড় 'সারপ্রাইজ'।

Why BJP choice Ramnath Kovind for president post?
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 19, 2017 11:13 am
  • Updated:June 19, 2017 11:13 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজধানীতে একটা কথা চালু আছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা কারও পক্ষে আঁচ করা সম্ভব নয়। আপনি যদি ভবিষ্যৎবাণী করেন, তাহলে নির্ঘাত বাজি হারবেন। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা মতো রাষ্ট্রপতি পদেও সারপ্রাইজ দিলেন মোদী-শাহ। জাতীয় রাজনীতিতে অচেনা হলেও নিজের জগতে বেশ সফল রামনাথ কোবিন্দ। আইন পেশা করলেও, সংঘ পরিবার এবং বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বর গুডবুকে বরাবর ছিলেন। বছর তিনেক আগে কোবিন্দকে বিহারের রাজ্যপালের দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে পাদপ্রদীপে আনে বিজেপি নেতৃত্ব। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে চমকের বৃত্তটা সম্পূর্ণ হল।

[রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির চমক, প্রার্থী বিহারের রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দ]

জাতপাতের রাজনীতিতে দেশের সবথেকে বড় গবেষণাগার উত্তরপ্রদেশ। গত তিন দশক এই অঙ্কে গো-বলয়ের বৃহত্তম রাজ্যের দাপট দেখিয়েছেন মায়াবতী। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে মায়াকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছি বিজেপি। তবে দলিতদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার জায়গায় এখনও পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রের শাসক দল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সেই ফাঁকটাও ভরাট হল। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে দলিত প্রতিনিধিকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ খুঁজে নিলেন। এই সিদ্ধান্তে প্রাথমিকভাবে চমক মনে হলেও, রামনাথ কোবিন্দকে বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে অনেক অঙ্ক।

Advertisement

[বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম শুনেই অগ্নিশর্মা মমতা]

সামান্য আইনজীবী থেকে রামনাথ কোবিন্দের উত্থান চমকে দেওয়ার মতো। ১৯৪৫-এর ১ অক্টোবর তাঁর জন্ম কানপুরের তেহসিল দেরাপুরে। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বানিজ্য এবং আইনে স্নাতক হন কোবিন্দ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গেও ছিল ঘনিষ্ঠতা। ১৯৭১-এ বার কাউন্সিলে নথিভুক্ত হন। তারপর দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে তিন দশক ধরে চুটিয়ে ওকালতি। এর মধ্যে রাজনাথ সিংয়ের সংস্পর্শে এসে তার রাজনৈতিক কেরিয়ারে গতি আসে। বিজেপি মুখপাত্রর দায়িত্ব পান। উত্তর প্রদেশের সাধারণ সম্পাদকের পদেও তাঁকে আনা হয়। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬। দু’দফায় অর্থাৎ, ১২ বছর বিজেপির সমর্থনে রাজ্যসভার সদস্য হন। এরই সুবাদে সংসদের একাধিক কমিটির সদস্য হন তিনি। বি আর আম্বেককর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইএম কলকাতারও বোর্ড মেম্বার পদে ছিলেন। তাঁর কেরিয়ার অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ২০০২ সালে। সেবছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য রেখেছিলেন। এক ছেলে ও মেয়ের বাবা রামনাথ কোবিন্দ দীর্ঘ দিন ধরে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কাজ করেছেন। সরকারি ভাবে খবর পেয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের এই বাসিন্দা। কোবিন্দ জিতলে দ্বিতীয় কোনও দলিত রাইসিনা হিলের বাসিন্দা হবেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ