Advertisement
Advertisement

Breaking News

জনগণ চাইলে নেতৃত্বহীন তামিলনাড়ুর নেতা হবেন রজনীকান্ত

দক্ষিণের রাজ্যে রাজনৈতিক শূন্যতা ভরাটই লক্ষ্য তামিল সুপারস্টার।

Will fill political vacuum in TN: Rajinikanth
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 6, 2018 9:31 am
  • Updated:September 14, 2019 1:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতৃত্বহীন তামিলনাড়ুর একজন নেতা চাই। জনগণ চাইলে তিনি সেই নেতার জায়গা নিতে পারেন। জয়ললিতার মৃত্যু ও করুণানিধির শারীরিক অসুস্থতা গোটা রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক  শূ্ণ্যতার জন্ম দিয়েছে। তিনি সেই শূণ্যতা পূরণে সক্ষম। রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে দাঁড়িয়ে এভাবেই প্রথম বক্তব্য রাখলেন তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত। একই সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রাপথে খুঁজে নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামাচন্দ্রণের ছত্রছায়া।

সুপারস্টারের রাজনৈতিক গুরু তথা তামিল সিনেমার পথিকৃৎ এমজিআর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও সুশাসক ছিলেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বে তামিলবাসীর উন্নয়নের কথা নিজের মুখেই শোনালেন রজনীকান্ত। একই সঙ্গে এমজিআর না হতে পারলেও জনতা জনার্দন যদি তাঁকে সুযোগ দেয়, তাহলে তিনি এমজিআরের মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনটাই জানালেন। বললেন,  জয়ললিতা ও করুণানিধির অবর্তমানে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক শূণ্যতা তিনিই পূরণ করতে পারেন। কেন না ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে আছে।

Advertisement

[বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল লেনিনের মূর্তি, ত্রিপুরা জুড়ে আক্রান্ত বামেরা]

চেন্নাইতে এম জি রামাচন্দ্রণের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন রজনীকান্ত। একই সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নামাঙ্কিত ডক্টর এমজিআর এডুকেশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনও করেন। প্রথম রাজনৈতিক সমাবেশে তামিলনাড়ুর বর্তমান রাজনীতিকদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই বর্ষিয়ান অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তামিলনাড়ুর বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না। উলটে বলছে, ‘অভিনেতা কেন মেকআপ ছেড়ে রাজনৈতিক রণাঙ্গনে পা রাখছেন? আমার ৬৭ বছর বয়স হল। এই বয়সে দাঁড়িয়েই রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যে বলছি, তোমরা তোমাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের চেষ্টাই করোনি। তাই আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করছি। আমি জানি এখনকার রাজনৈতিক নেতারা আমায় স্বাগত জানাবে না। আমি আশাও করি না। কিন্তু কেন তারা আমাকে বা আমার মতো নিরুৎসাহিত করবে ?  প্রশ্ন তুলেছেন রজনীকান্ত।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবন যে সহজ নয়। তা আমি ভালমতোই জানি। সংগ্রাম আর বাধা বিপত্তিকে সঙ্গে করেই চলতে হবে। সাপের ছোবল, কাঁটার খোঁচা সবই রাজনীতিতে মজুত রয়েছে। তারপরেও রাজনীতিতে আসতে চাইছি। এমজিআরের মতো আমিও সুশাসন দিতে পারি। আমি বিশ্বাস করি যে আমার এই ক্ষমতা রয়েছে।’

সুপারস্টারের রাজনৈতিক হাতেখড়ি এম করুণানিধি ও জিকে মুপানারের কাছে। দুজনের সঙ্গে তাঁর দারুণ সখ্যতা। রাজনীতির গলিঘুঁজির হালহকিকত তাঁদের হাত ধরেই জেনেছেন তামিল সুপারস্টার। তিনি চান রাজনৈতিক সুস্থতা থাকুক তামিলনাড়ুতে। তামিলবাসীও নিশ্চিন্তে দিনযাপন করুক। সেজন্য নিজের কাটআউটের ব্যানার প্রদর্শনেও রাশ টানতে চান রজনীকান্ত। ব্যানার প্রসঙ্গে অনুরাগীদেরও আদালতের নির্দেশিকার প্রতি মান্যতা রাখার কথা বলেন। একই সঙ্গে সতীর্থ অভিনেতা কমল হাসানের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তবে দুই সহকর্মীর রাজনৈতিক মেলবন্ধন নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেছেন, সময় বলবে।

[নর্দমার ভিতর বাস আস্ত কুমিরের, চোখ পড়তেই ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ