Advertisement
Advertisement

ভারত মহাসাগরে চিনকে রুখতে এককাট্টা ভারত-ফ্রান্স, মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে সওয়াল

ফ্রান্স ছাড়াও চিনকে রুখতে ভারতের পাশে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা।

With China in mind, India, France pledge to work for Indian Ocean freedom of navigation
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 11, 2018 2:18 pm
  • Updated:September 12, 2019 4:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলপথে সব দেশের মুক্ত বাণিজ্যের অধিকার রয়েছে। শুধু বাণিজ্যই নয়, সমুদ্রপথে কারও অবাধে বিচরণেও কোনও দেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই দাবিতে দুনিয়ার প্রায় সবকটি প্রথম সারির দেশই জোটবদ্ধ হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের নাম না নিলেও সমুদ্রপথে দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। আর মহাশক্তিকে মাথায় রেখেই এবার জোট বাঁধল ভারত ও ফ্রান্স। শনিবার দুই দেশের মধ্যে ১৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। যার মধ্যে মূল চুক্তিটি সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত।

[লাতিন আমেরিকায় আগ্রাসন বাড়াচ্ছে চিন, সতর্ক মার্কিন গোয়েন্দারা]

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘দুই দেশই বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে একমত। যে কারণে ভারত মহাসগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’ শুধু সামুদ্রিক নয়, এদিন দুই দেশের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও একগুচ্ছ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। একে অপরের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আবহাওয়ার উপর নজরদারি ও মহাকাশ অভিযানে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে দুই দেশই। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো ও ফ্রান্সের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সিএনইএস এবার থেকে একে অপরের ভূমি ও জলপথকে রক্ষা করবে। ভারত মহাসাগরে কোনও অচেনা অজানা জাহাজে নজরদারি চালাবে দুই দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

সমুদ্রপথে দাদাগিরিতে চিনের নাম দুই রাষ্ট্রনেতার ভাষণে উঠে না এলেও বেজিংকে নিয়ে দুই দেশই যে সতর্ক- সে কথা আর গোপন নেই। প্রশান্ত মহাসাগরে বিশৃঙ্খলা যে বরদাস্ত করা হবে না, সেই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ব্রেক্সিট-এর পর ইউরোপে ফ্রান্সের সবথেকে বড় সঙ্গী হিসাবে ভারতকে চাইছেন ম্যাক্রোঁ। এদিনের চুক্তির একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল জয়তাপুর সাইটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা। এবছরের শেষের দিকেই এই কাজ হয়ে যাবে সম্ভবত। একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই প্রকল্প থেকে ৯.৬ গিগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। শুধু ফ্রান্সই নয়, ভারত মহাসাগরই হোক বা প্রশান্ত মহাসাগর– ফ্রি ট্রেড বা মুক্ত বাণিজ্য ও বিচরণের স্বার্থে ভারত পাশে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও আমেরিকাকেও। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত এই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সমুদ্রে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

[চিনকে তুষ্ট করতে দলাই লামার অনুষ্ঠান এড়ানোর খবর ওড়াল বিদেশমন্ত্রক]

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ