সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রাঁচির হোম থেকে শিশুচুরির অভিযোগে গোটা দেশে যখন শোরগোল, তখন সন্ত টেরিজার ভারতরত্ন কেড়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
[ বিজেপির বিভাজন নীতিতে আরও সালাউদ্দিন জন্মাবে কাশ্মীরে, বিস্ফোরক মুফতি ]
সংঘের অভিযোগ, সেবার নামে আসলে ধর্মান্তকরণের ব়্যাকেট চালায় সংস্থাটি। এ অভিযোগ তাদের নতুন নয়। এর আগেও এ নিয়ে সরব হয়েছিল। রাঁচির হোম থেকে শিশুবিক্রির অভিযোগ আসার পর ফের তা নিয়ে মুখ খুললেন সংঘের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধু একটা হোম নয়, মিশন্যারিজ অফ চ্যারিটির একাধিক হোমে চলে এই শিশুবিক্রি চক্র। এমনকী নাবালিকাদের যৌন হেনস্তাও করা হয়। সংস্থার দাবি, সন্ন্যাসিনীরাই স্বীকার করেছেন যে এখানে ধর্মান্তকরণ করানো হয়। আরএসএস-এর দিল্লি শাখার প্রধান রাজীব তুলি জানিয়েছেন, মাদারের সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আজকের নয়। বহুদিন ধরে এ নিয়ে তাঁরা সরব। এখন তো সব প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। সংঘের দাবি, এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হোক, এবং সেইসঙ্গে মাদারের ভারতরত্ন খেতাবও কেড়ে নেওয়া হোক। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁরও দাবি, যেভাবে মাদারের সংস্থার নামে অভিযোগ আসছে, তাতে তদন্ত হওয়া উচিত।
[ সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হতে ট্রাম্পকে অনুরোধ মোদির ]
এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়ে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপিকেই। মমতার বক্তব্য ছিল, মাদার নিজের চেষ্টায় একা হাতে এই সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। এখন বিজেপি তাঁকেও রেয়াত করছে না। মাদারের বদনাম করতেই সংস্থাকে টার্গেট করা হচ্ছে। সন্ন্যাসিনীদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঠিক তারপরই একে একে মুখ খুললেন গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা। মাদারের ভারতরত্ন সম্মান কেড়ে নেওয়ার পক্ষেই মত তাঁদের।