Advertisement
Advertisement

Breaking News

নৃশংস! গণধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে ঢোকানো হল লাঠি, নগ্ন করে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম

নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া উত্তরপ্রদেশে৷

Woman gang-raped in UP, 4 held
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 4, 2018 10:58 am
  • Updated:July 4, 2018 11:16 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে৷ চার যুবকের গণধর্ষণের পর নৃশংস অত্যাচারের শিকার এক মহিলা৷ নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে ঢোকানো হল লাঠি৷ স্বামীর কাছে ধর্ষণের অভিযোগ জানানোয় নির্যাতিতাকে নগ্ন করে ঘোরানো হল গোটা গ্রামে৷ স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি৷ অবশেষে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

ঘটনার সূত্রপাত বহু আগেই৷ গৃহবধূর দাবি, মহিলার স্বামীর ভাইপোর সঙ্গে এলাকারই এক যুবতীর সম্পর্ক ছিল৷ ওই সম্পর্ক চললে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্তরা৷ গৃহবধূকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল তারা৷ হুমকি দেওয়ার পরই ২৯জুন ঘটে এই নৃশংস ঘটনা৷ ওইদিন বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহবধূ৷ অভিযোগ, সেই সুযোগে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পরে হরি লাল, গগন, জয় কিশোর ও ছোটে লাল৷ একে একে চারজনই ধর্ষণ করে গৃহবধূকে৷ কাউকে কিছু জানালে গৃহবধূর পরিজনদের খুনেরও হুমকি দেয় ওই চার যুবক৷ কিন্তু স্বামী বাড়ি ফেরার পর গোটা ঘটনা তাঁকে জানান ওই নির্যাতিতা৷ মহিলার স্বামী অভিযুক্তদের সেকথা জানায়৷ আবারও চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন মহিলা৷ মহিলার গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লাঠি৷ এরপর নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয় নির্যাতিতাকে৷ নৃশংস অত্যাচারের পর গোটা পরিবারকে খুনের হুমকিও দেয় অভিযুক্ত৷

Advertisement

[‘মৃত্যুফাঁদ’ হাসপাতালে, রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করছে অষ্টম শ্রেণি পাশ ]

মহিলার স্বামীর দাবি, অভিযুক্ত ওই চার যুবক এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী৷ তাই নৃশংস অত্যাচারের সময় তাঁরা পাশে পাননি কাউকেই৷ গ্রামের কেউ যেমন এগিয়ে আসেননি, তেমনই জানাজানি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ বাধ্য হয়ে বারবারই কুয়ারা থানায় অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী৷ কিন্তু তারপরেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ৷ অবশেষে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা৷ গোটা ঘটনা পুলিশ সুপার অজয় কুমারকে জানান তাঁরা৷

Advertisement

সুপারের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে কুয়ারা থানার পুলিশ৷ গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ পুলিশ সুপার জানান, ‘‘ঘটনার তদন্তে উদাসীন পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’ আপাতত হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন নির্যাতিতা৷ তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ