সুব্রত বিশ্বাস: বিনা টিকিটে যাত্রা। তাও রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো হাই প্রোফাইল ট্রেনে। অবশেষে ধরা পড়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য জামাকাপড় খুলে অন্তর্বাস পরেই বাংকে শুয়ে থাকলেন এক যুবতী। ত্রিবান্দ্রম-নিজামুদ্দিন রাজধানী এক্সপ্রেসে (১২৪৩১) এই ঘটনার পর রেল বোর্ড যাত্রীদের শালীনতার প্রতি নজর দিতে আবেদন জানিয়েছেন। রেল বোর্ডের কর্তাদের কথায়, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা অপরাধ। এজন্য জরিমানা অবশ্যই দিতে হবে। নইলে জেল। অন্য কোনও পথ অবলম্বনে আইন আরও জোরদার হবে।
প্রীতি কুমারী নামের (২৯) ওই মহিলা গত বৃহস্পতিবার মারগাঁও থেকে ওই ট্রেনে চড়েন। যে সিটে তিনি বসেন, তার আসল দাবিদার আসার পর সিট না পেয়ে টিকিট পরীক্ষকের দ্বারস্থ হন। টিকিট পরীক্ষক দেখতে পান সিটের দখল নেওয়া ওই মহিলা দিল্লি যাচ্ছেন রাজধানীতে বিনা টিকিটে। এরপর টিকিট পরীক্ষক আইন মেনে ওই মহিলা যাত্রীকে বরোদা স্টেশনে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। মহিলা না নেমে হম্বিতম্বি জুড়ে দেন। এমনকী ওই টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলেন।
রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বিলম্ব হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। তাই ট্রেনটি বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। টিকিট পরীক্ষক ওই মহিলা যাত্রীকে অন্য স্টেশনে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, ভিজিল্যান্স ওই মহিলার সন্ধান পেলে টিকিট পরীক্ষকও ভ্রমণে সুযোগ দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। এই আশঙ্কায় তিনি আরপিএফের দ্বারস্থ হন। তারাও পুরুষ হওয়ায় মহিলাকে জোর করতে পারেননি। এই অবস্থায় ট্রেনের মধ্যে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
[ আরও পড়ুন: ৩৫৪ কোটি টাকা ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ, ধৃত কমল নাথের ভাগনে ]
এর পর মহিলাকে কোটা স্টেশনে নামানোর জন্য টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফ সিকিউরিটি কন্ট্রোলে ফোন করে সাহায্য চান। অভিযুক্ত মাহিলা বিষয়টি বুঝতে পেরে জামাকাপড় খুলে ফেলেন। অন্তর্বাস পরেই শুয়ে পড়েন বাংক দখল করে। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ট্রেনটি কোটা স্টেশনে আসার পরই আগাম প্রস্তুত থাকা মহিলা আরপিএফরাই জোর করে তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনেন। সেই অবস্থায় মহিলা যাত্রী আরপিএফদের আই কার্ড দেখতে চান। এর পর বিনাটিকিটে ভ্রমণের অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।