সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমিত শাহের ব়্যালি ঘিরে দেখা দিল বিতর্ক। তাঁর মিছিলে এক মহিলা প্রতিবাদকারীকে উত্তমমধ্যম পেটালো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই ভিডিও এখন সোশাল সাইটে ভাইরাল। আর এর পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দল প্রশ্ন তুলেছে পুলিশকর্মীর কেউই মহিলা ছিলেন না। তা সত্ত্বেও কীভাবে ওই মহিলা প্রতিবাদকারীর উপর চড়াও হল পুলিশ?
সম্প্রতি এলাহাবাদে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেখানে কয়েকজন প্রতিবাদকারী তাঁর গাড়ির সামনে কালো পতাকা দেখান। প্রতিবাদকারীরা সবাই ছিলেন পড়ুয়া। কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি তাঁরা স্লোগান তোলেন ‘অমিত শাহ ওয়াপস যাও।’ প্রতিবাদের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ে শাহের গাড়ি। বিজেপি সভাপতির যাত্রায় যাতে কোনও বাধা বিপত্তি না আসে, তাই প্রতিবাদকারীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ওই প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন মহিলারাও। তাঁদেরই মধ্যে একজনকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটানো হয়।
[ জানালাহীন খুপরি ঘরই ছিল আশ্রয়, অনাহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল মর্মান্তিক তথ্য ]
অমিত শাহের মিছিল নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, তার জন্য প্রথম থেকে সচেতন ছিল পুলিশ। এত বজ্র আঁটুনির মধ্যে যখন প্রতিবাদকারীরা ঢুকে কালো পতাকা দেখাতে শুরু করেন, তখন সম্ভবত ইমেজ খোয়ানোর ভয়েই প্রতিবাদকারীদের টেনে হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরিয়ে আনা হয়। তারপর চলে বেধড়ক পেটানো। পুরুষ প্রতিবাদকারীদের তো পেটানো হয়ই, সেই সঙ্গে মহিলা প্রতিবাদকারীর উপরেও চলে বেপরোয়া লাঠিচার্জ।
এমন ঘটনা দেখেও থেমে যায়নি অমিত শাহের গাড়ি। পুলিশ যখন ওই মহিলা প্রতিবাদকারীকে উত্তমমধ্যম দিচ্ছে, তার মাঝেই চলে যায় বিজেপি সভাপতির শোভাযাত্রা।
[ হাঁটু গেড়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে প্রণাম কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর, নেটদুনিয়ায় বিতর্কের ঝড় ]
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র সুনীল সিং যাদব এ প্রসঙ্গ কথা বলতে গিয়ে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের কথা তুলেছেন। বলেছেন, “এই ঘটনার পর পরিষ্কার হয়ে গেল সরকার কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আইন অনুযায়ী একজন মহিলাকে একজন মহিলা পুলিশকর্মীই ধরতে পারে। কিন্তু সরকার ছাত্রছাত্রীদের ভয় পেয়েছে। কেন সরকারের পুলিশ এমন কাজ করল, তা নিয়ে তাদের সরকারকে জবাব দিতে হবে।” এই ঘটনার জন্য যত দ্রত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস মুখপাত্র অংশু অবস্তি জানিয়েছেন, “এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা ওই মেয়েটিকে মারল, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।”