সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে প্রথম আইএস হামলায় অভিযুক্ত ছেলে। দেশের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সে। এমন দেশদ্রোহী ছেলের মৃতদেহও নিতে রাজি নয় বাবা। এমন কথাই জানালেন সরতাজ আহমেদ।
লখনউ পুলিশ ও অ্যান্টি টেরর স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে খতম হয় জঙ্গি সইফুল্লাহ। দেশের মধ্যেই এটাই প্রথম আইএসের সংগঠিত আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও দেশে আইএস নেটওয়ার্ক ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। কিন্তু বিভিন্ন সময় ধরা পড়েছে আইএস মডিউল। কিন্তু সমস্ত সতর্কতা সত্ত্বেও আক্রমণ হেনেছে সইফুল্লাহ। শেষমেশ অবশ্য তাকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এমন দেশদ্রোহী ছেলের লাশ নিতেও অস্বীকার করেছে তার বাবা। তিনি জানাচ্ছেন, সইফুল্লাহ বি.কম পড়ছিল। চাকরি-বাকরি না করা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হয়। বাড়ির সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পরই সে মুম্বই চলে যায়। কিছুদিন পর সে জানায় সৌদি পাড়ি দিচ্ছে সে। তখনও পরিবারের লোক ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেনি যে, দেশের বিরুদ্ধে এতবড় পদক্ষেপ করতে চলেছে সে।
এনকাউন্টার চলার সময়ও দাদার সঙ্গে যোগাযোগ হয় সইফুল্লাহর। তাকে আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়। কিন্তু কারও কথা শোনেনি সে। নিকেশ হওয়ার পর তার মৃতদেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হলে, তীব্র আপত্তি জানায় সইফুল্লাহর বাবা সরতাজ আহমেদ। জানান, যে কাজ ও করেছে তা দেশবিরোধী। বাড়ির কারওরই কথা শোনেনি সে। এমন ছেলের তাই লাশও নিতে চান না তাঁরা।
#WATCH: Sartaj, father of Saifulla says,”Ye desh-hitt mein nahi tha hum usse naraz hain,aise deshdrohi ki laash nahi lenge” #LucknowTerrorOp pic.twitter.com/bGMxHlokJM
— ANI UP (@ANINewsUP) March 8, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.