সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর রাজত্বে টুপি এবং টিকার মধ্যে বিভেদ করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ধর্মের ভিত্তিতে পক্ষপাতিত্বে নারাজ যোগী সরকার। এক জনৈক বৈদ্যুতিন মাধ্যমের আলোচনা সভায় এসে যোগী বলেন, তাঁর সরকার রাজ্যের উন্নয়নে সবাইকে অংশীদার করবে এবং সমস্ত নাগরিককে নিরাপত্তা দেবে। সম্প্রতি রাজ্যে হিন্দু যুবা বাহিনীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই উদ্বিগ্ন। তাঁর হাতে গড়া এই সংগঠনের দাপট দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই প্রসঙ্গে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভুয়ো গেরুয়া চাদরধারীরা সাবধান হয়ে যাক, কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বা যারা বিজেপি বা সাংস্কৃতিক সংগঠনকে বদনাম করবে তাদের ছেড়ে কথা বলবে না সরকার।’ তাঁর বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সরকারের প্রথম কর্তব্য। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা হচ্ছে, কিন্তু নয়া সরকারের ১০০ দিন পূর্তির রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেই এই ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেছেন, ‘সমস্ত বোন, কন্যাসন্তান এবং ব্যবসায়ীরা এই রাজ্যে সুরক্ষিত থাকবেন। ভিআইপি সংস্কৃতিও শেষ করে দেওয়া হবে।’ সম্প্রতি দেশ জুড়ে স্বচ্ছতার নিরিখে সমীক্ষায় পিছনের সারিতে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের শহরগুলি। যা আগে অখিলেশ সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী, পরের স্বচ্ছ শহর সমীক্ষার আগেই রাজ্যের অন্তত ৫০টি শহর তালিকার প্রথম ১০০-য় জায়গা করে নেবে।
তাঁর মতে, ‘যখনই নতুন কেউ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ করেন তখন তিনি প্রশাসনকে পুনরায় ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেন। আগের আধিকারিকদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করি। ক্ষমতায় আসার অন্তত এক মাস পর প্রশাসনে রদবদল করেছি। এবং তাঁদেরই বদলি করা হয় যাঁরা নতুন সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না বা পরিবর্তিত পদ্ধতির সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে না।’ তিনি জানিয়েছেন, গত ১২-১৫ বছরে ট্রান্সফার পলিসি এখন রাজ্যে শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু এবার নতুন বদলির পদ্ধতি চালু করেছেন যোগী। এবার সবাইকে বদলির কারণ জানাতে হবে। মন্ত্রীদেরও কাউকে বদলি করতে হলে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন তাঁকে বদলি করা হচ্ছে এবং তাতে সাধারণ মানুষের কি লাভ হবে তা জানাতে হবে যোগীকে। রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে যে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে রাজি যোগী। এবং যেনতেন প্রকারেণ সেই বাধা তিনি অতিক্রম করবেনই, দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা মহন্ত যোগীর।