সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা অভিযানে বাধা দিলে এবার থেকে লাঠি নয়, জওয়ানদের হাতে বন্দুক রাখার নির্দেশ দিলেন সেনাকর্তারা। সেনা সূত্রে খবর, এখন থেকে জঙ্গিদমন অভিযানে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের নির্দেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই কঠোর পদক্ষেপ করছে সেনা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সেনার উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানিয়েছেন, রাওয়াতের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের মধ্যে। সেনার বিরুদ্ধে শুধু পাথর নয়, কাশ্মীরে এবার দাহ্য পদার্থে ঠাসা বোতল ছুঁড়ে মারার পরিকল্পনা রয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
(ভারতীয় সেনাকে পেট্রল বোমা দিয়ে আক্রমণের ছক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের)
আসন্ন গরমের মরশুমে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে পাক গুপ্তচররাও সক্রিয় হচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। পাক এজেন্টরাই কাশ্মীরি কিশোর-যুবকদের একাংশকে উসকে তাদের হাতে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থে ঠাসা বোতল তুলে দিতে পারে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আর তাই সেনাকেও বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বাধা দিতে এলে বিক্ষোভকারীদের কোনওমতেই যেন হালকাভাবে না নেওয়া হয়। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনী যেন দ্বিধা না করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, স্থানীয় কিশোর-যুবকরা যদি পাক বা আইএস-এর পতাকা তোলে, তাহলে তাদের দেশদ্রোহী বলে বিবেচনা করা হবে। তাঁর এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা।