Advertisement
Advertisement

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি, সুখবর শোনাল বিশ্বব্যাংক

নোটবন্দি ও জিএসটি’র নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে ভারত।

World Bank predicts India's GDP rise
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 12, 2019 10:28 am
  • Updated:January 12, 2019 10:28 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের জন্য সুখবর শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাদের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বর্তমান আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৩ শতাংশ হবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। যেটা আমাদের সরকার যা আশা করছে, তার থেকে বেশি। আগামী দু’টি আর্থিক বছরেও ভারতের অর্থনীতি দুর্বার গতিতেই এগোবে বলে বিশ্বব্যাংকের ধারণা। আগামী দু’টি অর্থবর্ষের জন্য ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ হবে বলে বিশ্বব্যাংকের ভবিষ্যদ্বাণী।

[রাফালে জটের সমাধানে আট বছরের খুদে! নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও]

Advertisement

শুধু জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়াই নয়, আগামী দু’টি অর্থবর্ষে ভারতের লগ্নি বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংকর রিপোর্টে আশার কথা শোনানো হয়েছে। ভারতে এটা ভোটের বছর। এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহ শাসক দলকে খুশি করেছে। নোটবন্দি ও জিএসটি নিয়ে গত দু’বছর ধরে কার্যত জেরবার কেন্দ্র সরকার। এই দুইয়ের জেরেই অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে কোনও মহলেই কোনও সংশয় নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে, নোটবন্দি ও জিএসটি’র নেতিবাচক প্রভাব ভারত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। যদিও সরকারের শিল্পসংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত নভেম্বর মাসে উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ০.৫ শতাংশ কমেছে। এর একটা বড় কারণ হচ্ছে, গাড়ি ও বস্ত্রশিল্পের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়া। তবে অর্থনীতিবিদদের একটা অংশের বক্তব্য, নভেম্বর মাসটা যেহেতু উৎসবের মরশুম, এই সময়টা উৎপাদন কম হয়। বিশেষ করে দীপাবলির সময় শিল্প উৎপাদনে একটা ঘাটতি দেখা যায়। কারণ, ছুটিছাটার জন্য কল-কারখানায় কাজের দিন কমে যায়। সেই কারণে, উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমা নিয়ে ভোটের মরশুমে বিরোধীরা হইচই জুড়লেও সরকার একে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। বরং জিএসটিতে সরকার যে ছাড় ঘোষণা করেছে, তাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএসটিতে ছাড়ের সীমা ২০ লক্ষ টাকা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ মাসে যারা সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ব্যবসা করে তাদের আর জিএসটির হিসাব রাখার ঝামেলা নেই। এতে প্রধানত খুব স্বস্তিতে থাকবেন ছোট দোকানদাররা।

Advertisement

সব মিলিয়ে সরকারের ধারণা অর্থনীতিতে এটা একটি বড় খুশির খবর। অর্থাৎ একদিকে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হচ্ছে আগামী দু’বছর ভারতে লগ্নি বাড়বে, ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে এবং অন্যদিকে, ছোট ব্যবসায়ীদের সুখবর শোনাচ্ছে দেশের সরকার। এর উপর ভোটের বছর বলে বাড়বে পরিকাঠামোয় লগ্নিও। আগামী মে মাসে লোকসভা ভোট হতে পারে। তার আগে ধরেই নেওয়া যায়, সরকার পরিকাঠামোয় লগ্নি বৃদ্ধি করবে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ ইত্যাদি খাতে খরচ বাড়বে। একদিকে যেমন কেন্দ্র সরকার এই সময় পরিকাঠামোয় বাড়তি খরচ করবে, তেমনি রাজ্যগুলিও নিজেদের ভাঁড়ার থেকে এই সময় খরচ বাড়াবে। এটাও অর্থনীতিকে অনেকটা চাঙ্গা করবে। ফলত, বিশ্বব্যাংক যে আর্থিক বৃদ্ধির ভবিষ্যদ্বাণী করছে, তার থেকেও এই সময় ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়তে পারে।

[২০২১-এ ইসরোর ‘মিশন গগনায়ন’, মহাশূন্যে পাড়ি দেবেন মহিলা নভোচররাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ