সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ নিয়ে গবেষণা চলছিল। গবেষণায় প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন বছরের পুরনো জারকনের সন্ধান পাওয়া যায়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক হিলস অঞ্চলে এই ধাতুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এবার আরও পুরনো জারকনের খোঁজ মিলল ভারতেই। ওড়িশার চম্পুয়ায় এই ধাতুর খোঁজ মিলেছে।
[ NEET পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের বিশ্রামের জন্য এগিয়ে এল কেরলের মসজিদ ]
ওড়িশার খুঁজে পাওয়া এই জারকনের বয়স প্রায় ৪২৪ কোটি বছর। প্রথম এই ধাতুর হদিশ পেয়েছিলেন কয়েকজন বাঙালি বিজ্ঞানী। কিন্তু তারপর সেই খোঁজ ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু ফের সেই গবেষণাই সামনে নিয়ে এলেন দুই বিজ্ঞানী। তাঁরাও বাঙালি। একজন রজত মজুমদার, অন্যজন ত্রিস্রোতা চৌধুরি।
রজত মজুমদার মালয়েশিয়ার কার্টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁরই ছাত্রী ত্রিস্রোতা চৌধুরি। রজত মজুমদার জানিয়েছেন, ওড়িশায় যে জারকনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তা রয়েছে আগ্নেয় গ্রানাইট শিলার মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ায় খোঁজ পাওয়া জারকন তা নয়। সেটি আগ্নেয় শিলায় পাওয়া যায়নি।
[ প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচমেন্ট, নায়ডুর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস ]
তবে এই শিলা এই প্রথম আবিষ্কার হয়েছে, তা নয়। ১৯৮১ সালে দুই বাঙালি বিজ্ঞানী এর আবিষ্কার করেন। তাঁদের দাবি ছিল, এই শিলার বয়স ৩৮০ কোটি বছর। কিন্তু এই দাবি নস্যাৎ করে দেন বিদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানী। এরপর ফের ১৯৯৫ সালে এই শিলার কথা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আড়ালেই রয়ে যায় এই গবেষণা।
এসব জেনে বুঝেই এবার কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন রজত মজুমদার। তাঁর ছাত্রী ত্রিস্রোতা চৌধুরী নেচার পত্রিকায় এনিয়ে লেখালেখি করেন। এই পাথর বিশ্লেষণ করার জন্য হাই রেজোলিউশন আয়ন মাইক্রোস্কোপ দরকার। ফলে শিলা পাঠানো হয় চিনে। সেখান থেকে জানা যায় এই পাথরের বয়স ৪২৪ কোটি বছর।