Advertisement
Advertisement
কর্ণাটক

কর্ণাটকে লক্ষ্যপূরণ বিজেপির, আজই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ইয়েদুরাপ্পা

সামনে কঠিন পরীক্ষা, এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না কর্ণাটকের গেরুয়া শিবির।       

Yeddyurappa will be sworn in as Karnataka CM today
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 26, 2019 2:31 pm
  • Updated:July 26, 2019 2:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির মঞ্চে বেনজির লড়াইয়ের পর অবশেষে লক্ষ্যপূরণ বিজেপির। আজ, শুক্রবার চতুর্থবারের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।

[আরও পড়ুন: পেয়েছিলেন বীর চক্র, কারগিল যোদ্ধা এখন ট্রাফিক সামলান]

Advertisement

বিগত বেশ কিছুদিন থেকেই কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডি(এস) সরকারের স্থায়িত্ব এবং নয়া সরকার গঠন নিয়ে দোলাচল ছিলই। কিন্তু কিছুটা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এতদিন সরকার গড়ার দাবি জানায়নি বিজেপি৷ তবে আস্থা ভোটে কুমারস্বামী সরকারের পতনের পর আর অপেক্ষা করতে নারাজ ইয়েদুরাপ্পা শিবির।

Advertisement

প্রত্যাশামতোই শুক্রবার সকালেই রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান ইয়েদুরাপ্পা। আজ সন্ধেবেলাই সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, কর্ণাটক বিধানসভার মোট সদস্য সংখ্যা ২২৫ (একজন মনোনীত)৷  এই মুহূর্তে সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন যোগ করে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে মোট ১০৭টি আসন। যেখানে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোটের কাছে রয়েছে ৯৯টি আসন। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১৭ জনের মধ্যে তিন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছেন স্পিকার রমেশ কুমার।

তিনজন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১১১ জনের সমর্থন। নির্দল ও অন্য দলের সমর্থনে বিজেপি সরকার গড়লেও সেটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, বিক্ষুব্ধদের অনেকেই কুমারস্বামীকে পছন্দ না করলেও তাঁরা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ। ফলে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা অথবা সদস্যপদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বিজেপির কাছে। এই বিধায়কদের সঙ্গে কংগ্রেসের ফের যোগাযোগের সম্ভাবনাও খারিজ করতে পারছে না বিজেপি। একই সঙ্গে কর্ণাটক মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই শপথ নেওয়ার পরই স্পিকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও প্রমাণ করতে হবে বিধানসভায়। এসব সমীকরণ মাথায় রেখে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না কর্ণাটকের গেরুয়া শিবির।       

[আরও পড়ুন: জানেন, কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তানের উপর অগ্নিবর্ষণ করেছিল কোন অস্ত্রগুলি?]

  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ