সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা লকডাউনকে পরোয়া নেই! সাতসকালে সদলবলে অযোধ্যার মন্দিরে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)। রীতি অনুযায়ী রামজন্মভূমি থেকে রামলালার মূর্তি একটি অস্থায়ী কাঠামোয় স্থানান্তর করেন তিনি। যতদিন না রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে, ততদিন ওই অস্থায়ী কাঠামোতেই রাখা হবে রামচন্দ্রের মূর্তিটি। করোনা আতঙ্কের মধ্যে যোগীর এই ‘ধর্মকর্ম’ রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কারণ গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ২১ দিনের জন্যও দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছেন।
अयोध्या करती है आह्वान…
भव्य राम मंदिर के निर्माण का पहला चरण आज सम्पन्न हुआ, मर्यादा पुरुषोत्तम प्रभु श्री राम त्रिपाल से नए आसन पर विराजमान…
मानस भवन के पास एक अस्थायी ढांचे में ‘रामलला’ की मूर्ति को स्थानांतरित किया।
भव्य मंदिर के निर्माण हेतु ₹11 लाख का चेक भेंट किया। pic.twitter.com/PWiAX8BQRR
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) March 25, 2020
[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের জেরে পিছিয়ে গেল NPR,আপাতত স্থগিত জনগণনাও]
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছিল, “এই সময় যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। এই মহামারি মোকাবিলার একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। নিজের ঘরে বন্দি থাকুন। এর থেকে ভাল উপায় আর নেই। সংক্রমণ রুখতে এটাই একমাত্র পন্থা। কেউ কেউ ভাবছেন সামাজিক দূরত্ব রোগীদের জন্য দরকার। কিন্তু তা নয়। এটা সবার জন্য জরুরি।” মোদির পরামর্শ মেনে গোটা দেশ বুধবার থেকে লকডাউনে। কিন্তু মোদির ঘোষণার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বিতর্ক বাধিয়ে ফেললেন যোগী।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে লকডাউনের অর্থ কী? করোনা মোকাবিলায় জেনে নিন নানা তথ্য]
মঙ্গলবার রাতেই নবরাত্রির বিধি পালনের উদ্দেশ্যে অযোধ্যায় যান উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সাতসকালে নবরাত্রির প্রথম দিনের নিয়ম মেনে মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তারপর নিজের হাতে রামলালের মূর্তিটি অস্থায়ী কাঠামো স্থানান্তরিত করেন। রাম মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে ১১ লক্ষ টাকা দানও করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের অভিযোগ যোগী যখন এসব করছেন, তখন তাঁর চারপাশে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। যা এই পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক। তাছাড়া দেশজুড়েই এখন যাবতীয় ধর্মীয় রীতি, মন্দির-মসজিদ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে এমন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার অবশ্য বলছে, যোগী ওখানে গিয়েছেন রাম মন্দির সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে। মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। এই পরিস্থিতিতে সেটা হবে কিনা, তা নিয়েই বৈঠক করবেন তিনি।