Advertisement
Advertisement

অ্যাপেলো কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত দুই চিকিৎসক, সাময়িকভাবে বাতিল লাইন্সেস

সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এই শাস্তি ।

2 doctor's license suspended temporarily For Sanjay Roy's death
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 29, 2018 7:32 pm
  • Updated:July 15, 2019 1:41 pm

গৌতম ব্রহ্ম: সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় সাময়িকভাবে বাতিল অ্যাপেলোর দুই  চিকিৎসক ঊষা গোয়েঙ্কা ও শ্যামল সরকারের লাইন্সেস। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যরা। বৈঠকে রেডিওলজিস্ট ঊষা গোয়েঙ্কার লাইসেন্স ১ বছরের জন্য ও সার্জন শ্যামল সরকারের লাইসেন্স ৬ মাসের জন্য বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লাইন্সেস বাতিল থাকাকালীন প্র্যাকটিস করতে পারবেন না ওই দুই চিকিৎসক।

[টাকার জন্য রোগী আটকে রাখায় মৃত্যু হল যুবকের]

Advertisement

২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হুগলির ডানকুনিতে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন সঞ্জয় রায়। গুরুতর আঘাত লেগেছিল বুকে ও পেটে। তাঁকে ভরতি করা হয় অ্যাপেলো হাসপাতালে। সার্জন শ্যামল সরকারের অধীনে ভরতি ছিলেন সঞ্জয়বাবু। পাঁজর ভেঙে বুকের ভিতর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক শ্যামল সরকার। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর পরিবারকে জানানো হয়েছিল, রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভেন্টিলেশনের রাখা হয়েছে ওই যুবককে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভেন্টিলেশনেই ছিলেন সঞ্জয় রায়। ততদিনে বিলও নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। আর্থিক কারণে সঞ্জয়কে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু বিল বকেয়া থাকায় রোগীকে ছাড়তে রাজি হয়নি অ্যাপেলো কর্তৃপক্ষ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আগে বিল মেটাতে হবে। না হলে রোগীকে ছাড়া হবে না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে নিজেদের ফিক্সড ডিপোজিট জমা দিতে বাধ্য হয় সঞ্জয় রায়ের পরিবার। তবে এসএসকেএম-র ভরতি করেও শেষরক্ষা হয়নি। যেদিন সঞ্জয়কে ভরতি করা হয়েছিল, সেদিন রাতেই মারা যান তিনি। বিল আদায়ের জন্য রোগীকে আটকে রাখার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে পদত্যাগ করেন অ্যাপেলোর সিইও রূপালি বসু।

Advertisement

[অ্যাপোলো কাণ্ডে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য]

২৫ ফ্রেরুয়ারি ফুলবাগান থানায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি ও জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রুবি রায়। হাসপাতালের অমানবিক আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ তো বটেই, ঘটনার তদন্তে নামে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। দোষী সাব্যস্ত হন ওই অ্যাপেলোর রেডিওলজিস্ট ঊষা গোয়েঙ্কা ও সার্জন শ্যামল সরকার। দু’জনেরই লাইন্সেস সাময়িকভাবে বাতিল করল মেডিক্যাল কাউন্সিল। ১ বছরের জন্য লাইন্সেস বাতিল হয়েছে চিকিৎসক উষা গঙ্গোপাধ্যায়েরও। ৬ মাসের জন্য চিকিৎসক শ্যামল সরকারের লাইন্সেস বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল। অর্থাৎ ১ বছর ও ৬ মাস প্র্যাকটিস করতে পারবেন তাঁরা।

[অ্যাপোলোর সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রূপালি বসু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ