সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার কার্ডের তথ্য চেয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। আর একারণেই খাস কলকাতার বুক থেকে গণেশকুমার রওয়ানি (২৪) ও মণীশকুমার গুপ্ত (২২) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সল্টলেকের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর দিল্লির বাসিন্দা বিজেন্দ্র কুমারের কাছে একটি বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন আসে। সেই সংস্থারই কার্ড হোল্ডার বিজেন্দ্র। ওই কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেনেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[নর্তকীর অশালীন ভঙ্গিতে মজে টাকার বৃষ্টি পুলিশকর্মীর, তদন্তে সাসপেন্ড]
এর আগে, গত ১৫ তারিখ সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ওই বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার ম্যানেজার বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি জানান যে দিল্লীর বাসিন্দা বিজেন্দ্র কুমার নামক তাদের এক গ্রাহকের কাছে চলতি মাসের ১৩ তারিখ একটি অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে ফোন আসে। এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি ফোন করে নিজেকে ওই সংস্থার কর্মী হিসাবে পরিচয় দেয়। তারপরেই নানা অছিলায় বিজেন্দ্রর কাছ থেকে তাঁর কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেয়। বিজেন্দ্র বিশ্বাস করে যাবতীয় গোপন তথ্যগুলি দিয়েও দেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখতে পান কেউ বা কারা তার সেই ঋন কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে অনলাইনে চারটি মোবাইল কিনেছে। যার বাজার মূল্য আশি হাজার টাকা।
[চিনা ‘ফাঁদে’ পা দিতে নারাজ পাকিস্তান, জোর ধাক্কা খেল OBOR]
বেসরকারি ঋণ সংস্থার ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা গণেশ কুমার রাওয়ানি এবং বিহারের বাসিন্দা মণীশকুমার গুপ্ত ঐ ব্যক্তিকে ফোন করে এই প্রতারনা করেছে। সেই ভিত্তিতেই বুধবার নিউটাউনের গৌরাঙ্গ নগর এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র বিহার, ঝাড়খণ্ড, কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই প্রতারনা চক্র চালাচ্ছে। চক্রের মূল পান্ডার সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।