Advertisement
Advertisement

Breaking News

Coronavirus

Omicron: কলকাতায় ওমিক্রনের থাবা, দুই বিদেশ ফেরতের শরীরে মিলল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

এদিকে কল্যাণীর আবাসিক স্কুলে করোনার আক্রান্ত একাধিক পড়ুয়া-সহ ৩১।

2 tested positive for Omicron in Kolkata | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 22, 2021 10:26 pm
  • Updated:December 22, 2021 10:53 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য এবং বিপ্লবচন্দ্র দত্ত: এবার খাস কলকাতায় ‘ওমিক্রনে’র (Omicron) থাবা। দুজন বিদেশ ফেরত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর। দিন কয়েক আগে একজন নাইজেরিয়া থেকে এবং অন্যজন লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। রাজ্যে ফেরার পর দুজনই কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টই আসে বুধবার রাতে। দুজনই আপাতত কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, গত ১৫ দিনে বিদেশ ফেরত ৮ জনের নমুনা কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্সিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্টের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। আপাতত উৎসবের মরশুমেই ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কে ত্রস্ত রাজ্যবাসী। 

Advertisement

এদিকে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীর জহর নবোদয় আবাসিক স্কুলে করোনার হানা। প্রথমে দুজন ছাত্রছাত্রীর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পরই বাকি ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, আরও ২৯ জন করোনা আক্রান্ত। স্বাভাবিকভাবে একসঙ্গে এতজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Advertisement

বুধবার সকলের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের রিপোর্ট আসার কথা। স্বভাবতই এমন পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নাগ জানিয়েছেন, “স্কুল বন্ধের ব্যাপারে আমরা কিছু বলব না। বুধবারও ক্লাস হয়েছে। আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। যদিও আক্রান্তরা সবাই প্রায় উপসর্গহীন। স্কুল বন্ধের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।”

[আরও পড়ুন: নির্বাচনী হলফনামায় ‘ভুল’ তথ্য, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি]

গত ১৬ নভেম্বর কল্যাণীর জহর নবোদয় আবাসিক স্কুল খোলে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে দুই পড়ুয়ার হালকা জ্বর সঙ্গে সর্দিকাশি হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। দুজনরই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, সমস্ত ছাত্রছাত্রী ও স্কুলের সকলের করোনা পরীক্ষা হবে। সেই মতো গত সোমবার স্কুলের ২১৫ জন ছাত্রছাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে ২৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কিন্তু কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে করোনা ছড়াল? স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকদের দেখা করার দিন ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের ধারনা, সম্ভবত তাঁদের মধ্যে কোনও একজন উপসর্গহীন আক্রান্ত ছিলেন। তার থেকেই প্রথমে দুজন ছাত্রছাত্রী আক্রান্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়েছে বাকিদের মধ্যে।

[আরও পড়ুন: মিনাখাঁয় জোর করে চাঁদা তোলার প্রতিবাদের জের, পিটিয়ে খুন প্রৌঢ়কে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ