ফাইল ছবি।
নব্যেন্দু হাজরা: আলু মজুত করার জন্য কোল্ড স্টোরেজে জায়গা ফাঁকা রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কৃষি বিপণন দপ্তর থেকে এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সমস্ত সংস্থাকে জানিয়েছে, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য আলু রাখার কোল্ড স্টোরেজের অন্তত ৩০ শতাংশ জায়গা এখন থেকেই ফাঁকা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টি দেখার দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। ১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দপ্তর।
বড় চাষিদের দাপটে অনেক সময়ই ছোট চাষিরা তাঁদের জমিতে উৎপাদিত আলু রাখার জায়গা শেষ মুহূর্তে পান না। সেক্ষেত্রে তাঁদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা কাটাতে এবার চাষ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্যও কোল্ড স্টেরেজে জায়গা রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই সমস্ত চাষিরা জেলাশাসকের কাছে তাঁদের কেসিসি বা কৃষকবন্ধু কার্ড, বাংলা শস্য বিমা যোজনার চলতি বছরের প্রমাণপত্র সমেত জেলাশাসকদের কাছে কোল্ড স্টেরেজে জায়গার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাঁরা সর্বোচ্চ ৩৫ কুইন্টাল (৭০ ব্যাগ) আলু রাখতে পারবেন। আগে আসলে আগে মিলবে ভিত্তিতে এই জায়গা চাষিদের দেবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। ২০ মার্চের পর যদি নির্দিষ্ট জায়গার অংশ ফাঁকা থেকে যায়, তাহলে কোল্ড স্টোরেজের মালিক তা নিজস্বভাবে ব্যবহার করেত পারবেন। তবে এই ফাঁকা জায়গা থেকে যাওয়ার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ মিলবে না।
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, বাকি চাষিরা যেভাবে কোল্ড স্টোরেজ আলু মজুত করেন, সেভাবেই করতে পারবেন। চলতি বছরে ১২টি নতুন কোল্ড স্টোরেজে আরও ১.৩৭ লাখ মেট্রিক টন বাড়তি জায়গা মিলবে আলু মজুত করার জন্য। এই নিয়ে রাজ্যে ৪৯৬টি কোল্ড স্টোরেজের ৮১ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি জায়গা থাকছে আলু রাখার জন্য। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এ বছর আরও ১০টি নতুন জায়গা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় রাজ্যের জেলাগুলিতে প্রায় ৫০৮টি কার্যকর জায়গা থাকছে উৎপাদিত আলু মজুতের জন্য। এ বিষয়ে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগেও ছোট চাষিরা আলু মজুত করত। তবে সরকার যদি চাষিদের থেকে ৩০ শতাংশ আলু কিনে নেয়, তাহলে ছোট চাষিরা আরও উপকৃত হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.