সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিআইপি রোডের একটি আবাসন থেকে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম সোনম সিং। বাগুইআটির চিনার পার্কের একটি বারের নতর্কী ছিলেন তিনি। এটা খুন না আত্মহত্যা, তা ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার দুপুরে সোনমের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর ফ্ল্যাটে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। দু’জনে মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটিও হয়েছিল। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
[বাইক মিছিলে ফের উত্তেজনা শহরে, মুরারিপুকুরে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি]
জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক ধরে ভিআইপি রোডে হলদিরাম কাছেই একটি আবাসনে থাকছিলেন সোনম। পাঁচ তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। চিনার পার্কের একটি বারের নতর্কী ছিলেন বছর পঁয়তিরিশের ওই মহিলা। কিন্তু, সম্প্রতি বিধাননগরে সমস্ত বার বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। মৃত মহিলার প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, বারে নর্তকীর চাকরি হারিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন সোনম। মানসিক অবসাদে ভুগতেন। রবিবার দিনভর বহু ডাকাডাকি করেও সোনমের কোনও সাড়া পাননি তাঁরা। রাতের দিকে খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। পুলিশ ফ্ল্যাটের বাইরে একপ্রস্ত ডাকাডাকি করে। কিন্তু, সাড়া মেলেনি। এরপরই দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। দেখা যায়, শোওয়ার ঘরে ফ্যানে ওই সোনমের মৃতদেহ ঝুলছে। গলা ওড়নার ফাঁস। ঘটনার তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই আবাসনে।
[শীতের সকালে শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ড, জনজীবন বিপর্যস্ত]
কিন্তু, কীভাবে মারা গেলেন নতর্কী সোনম সিং? তিনি কী আত্মহত্যা করেছেন? নাকি এটা খুন? ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রবিবার দুপুরে মৃতার ফ্ল্যাটে এক ব্যক্তি এসেছিলেন। সোনমের সঙ্গে ওই ব্যক্তির তুমুল বচসা হয়। ওই ব্যক্তি চলে যাওয়ার পরই নিজেকে ফ্ল্যাটে বন্দি করে রেখেছিলেন ওই মহিলা। তাঁর আর কোনও সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশিরা। পুলিশের দাবি, আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজেও ওই ব্যক্তিকে লিফটে উঠতে দেখা গিয়েছে। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করলেও, ওই ব্যক্তিকে বাগুইআটি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা কলকাতায়, উল্টোডাঙায় দুর্ঘটনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.