দুষ্কৃতীর ব্লেডের আঘাতে আহত ছাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা: থিয়েটার দেখে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতী হামলার শিকার এক কলেজ ছাত্রী৷ ব্লেড জাতীয় ধারালো কিছু জিনিস দিয়ে এক সাইকেল আরোহী যুবক ওই ছাত্রীর গালে আঘাত করে পালায় বলে অভিযোগ৷ বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বরানগর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অতুলচন্দ্র ব্যানার্জি লেনে৷

এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের সকলে৷ বরানগর থানার ঘটনার অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা৷

বিদ্যাসাগর কলেজের ইংরেজির চূড়ান্ত বর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি বীরভূমের সিউড়িতে৷ কলকাতার কলেজে পড়াশোনার কারণে তিনি গত তিন বছর ধরে বরানগরে তাঁর বাবার বন্ধু রবিশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে থাকতেন৷ এদিন কলেজের পর ওই ছাত্রী উত্তর কলকাতার গিরিশ মঞ্চে নাটক দেখতে যান৷ নাটক দেখে ফিরতে খানিকটা রাতই হয়ে গিয়েছিল৷

অন্ধকার রাস্তায় দূরে তিনি দেখতে পান এক সাইকেল আরোহী দাঁড়িয়ে আছেন৷ তিনি এগোতেই দ্রুত সাইকেলটিও এগিয়ে আসতে থাকে৷ ছাত্রীর পাশাপাশি এসে যুবকটি তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়৷ ছাত্রীটি সরে যাওয়ার সময় তাঁর গালে ধারালো কিছু দিয়ে চিরে দেয় যুবক৷ এর পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় সে৷ ছাত্রীটির গালের অনেকটা অংশ চিরে যায়৷ আহত অবস্থায়ে কোনওমতে বাড়ি আসেন তিনি৷

এরপর চিকিৎসার জন্য ছাত্রীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ গালে ১১টি সেলাই করা হয় তাঁর৷ আপাতত তিনি অনেকটাই  সুস্থ রয়েছেন৷ ছাত্রীর দাবি, তাঁর কানে দামি সোনার দুল ছিল৷ ওই যুবক সম্ভবত সেটাই হাতানোর চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু তিনি সরে যাওয়ায় ওই ব্লেডের আঘাত এসে লাগে তাঁর গালে৷ খবর পেয়ে সিউড়ি থেকে দ্রূত বরানগরে ছুটে আসেন ছাত্রীর বাবা৷

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এটি নিছক কানের দুল ছিনতাইয়ের চেষ্টা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে৷ কারণ ছিনতাইয়ের ঘটনা হলে প্রথমে কান ধরে দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করত অভিযুক্ত৷ প্রথমেই ব্লেড জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করত না৷ পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ওই ছাত্রীকে আঘাত করার উদ্দেশ্যেও এমনটা করে থাকতে পারে ওই দুষ্কৃতী৷ এর পিছনে প্রণয়ঘটিত কোনও ঘটনা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে খুবই মেধাবী৷ সে সবসময় পড়াশোনা নিয়েই থাকত৷ কারও সঙ্গে মেয়ের কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলেই তাঁর অনুমান৷