সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার গাফিলতির অভিযোগে কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। অভিযোগ, হাসপাতালের ভুলে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ডান হাত খুইয়েছেন এক বধূ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্তি জানালেন ওই তরুণীর মা।
মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডল নামে ওই বধূ। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে অসুস্থ তিনি। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে ভরতি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তিনি। অভিযোগ, রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও তাঁর চিকিৎসা শুরু করেননি চিকিৎসকরা। প্রায় ২ দিন পর স্যালাইন চালু করা হয়। তাঁর ডান হাতে স্যালাইন দেওয়া শুরু করার পর থেকেই যন্ত্রনা হতে শুরু করে। অভিযোগ, বিষয়টি একাধিকবার চিকিৎসকদের জানানোর পরও তাতে কর্ণপাত করেননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে কাটল লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি ফ্রেট করিডরের জট, চড়া দামে জমি কিনবে সরকার]
হাতটি ভয়ংকরভাবে ফুলে যাওয়ার ৯ তারিখ ডান হাতের পরিবর্তে ওই বধূর বাম হাতে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা। এদিন সন্ধেয় হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় যে, তাঁর হাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তাই ডান হাতটি বাদ দিতে হবে। এতে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন রোগীর আত্মীয়রা। এরপরই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল থেকে এসএসকেএমে রেফার করে দেওয়া হয় সুস্মিতাকে।
১০ জানুয়ারি এসএসকেএমে ভরতি করা হয় তাঁকে। দু’বার অস্ত্রোপচারের পরও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে ১৭ তারিখ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় তরুণীর ডান হাত। এ প্রসঙ্গে বধূর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে তাঁরা রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন, স্বাস্থ্যভবন ও মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন। ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্ত চিকিৎসদের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। শুধুমাত্র চিকিৎসকদের গাফিলতিতে এ বিপর্যয় মেনে নিতে পারছেন না তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।