Advertisement
Advertisement
Cancer

ঠিক যেন সিনেমা, ক্যানিংয়ের রহিমাকে ক্যানসারমুক্ত করল রেডিওই!

ব্যাপারটা কী?

A woman of Canning recovered from Cancer | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 14, 2022 12:32 pm
  • Updated:October 14, 2022 12:32 pm

অভিরূপ দাস: শহর কলকাতা থেকে তাঁর গ্রাম প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ধাপধাড়া গোবিন্দপুর। অসুখ-বিসুখ হলে জলপড়া তেলপড়া খান গাঁয়ের মানুষজন। এহেন রহিমা লস্করের ক‌্যানসার (Cancer) মুক্তির গল্প কোনও সিনেমার থেকে কম নয়। স্রেফ একটা পুরনো রেডিও কীভাবে তাঁকে নতুন জীবন দিল, সে কাহিনি হার মানাবে সুপারহিট সিনেমাকেও।

বছর তিনেক আগের কথা। বিপাকে পড়েছিলেন স্তনে ফুসকুড়ি দেখে। কুলতলির বাসিন্দা স্থানীয় ক‌্যানিং হাসপাতালে গিয়েও সুরাহা পাননি। এদিকে ক্রমশ বাড়ছিল স্তনবৃন্তের চারপাশে লালচে আভা। প্রমাদ গুনছিলেন রহিমা। বাড়ির লোক যদিও আমল দেননি তাতে। উলটে বলেছিলেন, বেশি চিন্তা কোরো না। কিস‌্যু হয়নি। দিনভর রেডিও শোনার অভ্যেস ছিল রহিমার। সেই অভ্যেসই যে প্রাণে বাঁচাবে কে জানত! রহিমার বেঁচে ফেরার গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও। রাত আটটায় স্থানীয় সংবাদের পর আকাশবাণী কলকাতার স্বাস্থ‌্য সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শুনতে গিয়ে হাতে চাঁদ। যে সমস্ত উপসর্গ নিয়ে কথা হচ্ছে এ তো তাঁর শরীরেই দেখা দিয়েছে! সে দিনের অনুষ্ঠানে আলোচনায় ছিলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের নাম ডায়েরিতে নোট করে নেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফিরল তিন বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি, মাঝরাতে ফের বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল]

এরপর একদিন বাড়িতে না জানিয়েই ক‌্যানিং (Canning) লোকাল ধরে চলে আসেন শিয়ালদহ। সেখান থেকে লোককে জিজ্ঞেস করে ভবানীপুর, পিজি হাসপাতাল। কীভাবে খুঁজে পেলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকারকে, কীভাবেই বা সম্পূর্ণ অস্ত্রোপচারের পর এখন তরতাজা সুস্থ, সে গল্প জানা গেল এসএসকেএম-এর অডিটোরিয়ামে। এখনও ছ’মাসে একবার শারীরিক পরীক্ষার জন‌্য রহিমাকে আসতে হয় হাসপাতালে। সম্প্রতি এসএসকেএমে ক‌্যানসার সংক্রান্ত সচেতনামূ্‌লক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. অভিজিৎ হাজরা (ডিন), রেডিয়েশন অঙ্কোলজি বিভাগের ডা. দেবব্রত মিত্র, সার্জন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার, স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস। 

Advertisement

ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়, ৫ শতাংশ মানুষ জিনগতভাবে জন্ম থেকেই ক‌্যানসারের কোষ নিয়ে জন্মায়। বাকি ৭৫ শতাংশ মানুষ জীবদ্দশায় জিন মিউটেশন হয়ে ক‌্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। একদিনে সব জিন টেস্ট করে ফেললেই যে সমস‌্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা নয়। আগামী ত্রিশ দিনের মধ্যে জিনের নতুন মিউটেশন হয়ে বিপদ আসতেই পারে। স্তন ক‌্যানসারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক যৌন জীবন। এসএসকেএম হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, স্তন পুনর্গঠনের পর স্পর্শকাতরতা কমে যায়। স্তন বাদ দিতে হলে স্বামীর স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়ার ঘটনাও আখছার।

[আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা: পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হাই কোর্টে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ