অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিবাদ। দাদার বিরুদ্ধে সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগে মামলা করেছে ভাই। আর সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আদালত চত্বরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। পুলিশ ও পথচলতি মানুষের তৎপরতায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই যুবক। ছেলের এই কাণ্ড নিজের চোখেই দেখলেন মা। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়া আদালতে।
[ফের শহরে দুই বাসের রেষারেষি, পিষ্ট অফিসযাত্রী মহিলা]
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রবীর মণ্ডল। বাড়ি লিলুয়ার চকপাড়ায়। সেরকম রোজগারপাতি নেই। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে দাদার কাছে থাকেন প্রবীর। ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁর ও মায়ের উপর রীতিমতো অত্যাচার চালায় দাদা অসীম। এমনকী, ভাইকে বঞ্চিত করে মায়ের সম্পত্তিও হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাই দাদার কাছ থেকে খোরপোষ আদায় করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীর। দীর্ঘদিন ধরেই মামলার শুনানি চলছে হাওড়া আদালতে। বৃহস্পতিবার শুনানিতে হাজির থাকতে বৃদ্ধা মা-কে নিয়ে হাওড়া আদালতে এসেছিলেন বছর ছাব্বিশ ওই যুবক। কিন্তু, বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিচারপতির এজলাস থেকে বেরিয়েই আদালতে চত্বরের একটি গাছে উঠে পড়েন প্রবীর। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন তিনি। বিষয়টি নজরে আসতে ছুটে আসেন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার ও পথ চলতি মানুষ। কোনওমতে প্রবীরকে উদ্ধার করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে প্রবীরের মায়ের সামনে। দুজনকেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। হাওড়া হাসপাতালে ওই যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়।
[বেলেঘাটায় ৮৫ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪]
আদালতে তো নানা কারণেই শুনানি পিছিয়ে যায়। কিন্তু, তার জন্য কেন আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন ওই যুবক? প্রবীরের মা অমৃতা মণ্ডলের বক্তব্য, বড় ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েছেন তাঁরা। মামলা করে সুরাহা মিলছে না। তাই এদিন শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন প্রবীর।
[গড়িয়াহাট উড়ালপুলে ভেঙে পড়ল বিজ্ঞাপনের গেট, আহত ১]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.