তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আর জি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন সাজায় অখুশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, ঘনিষ্ঠমহলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “সঞ্জয় রায়ের মতো ধর্ষকদের জেলে রাখার কোনও অর্থই নেই। এটা করদাতাদের অর্থ অপচয় ছাড়া আরও কিছুই না।” এদের ফাঁসি হওয়া উচিত, বলছেন অভিষেক।
সোমবার অভয়া কাণ্ডের রায়দানের পরই সিবিআইকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ফাঁসির বদলে সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড আদপে তদন্তে ফাঁকফোকরের প্রতিফলন। বলেন, “আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।” প্রায় একই সুর শোনা গেল অভিষেকের গলাতেও।
ঘনিষ্ঠমহলে অভিষেক জানিয়েছেন, “সমাজে ধর্ষকদের কোনও জায়গা নেই। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ যদি তার বিরুদ্ধে যায় ফাঁসিই একমাত্র পথ। করদাতাদের টাকা নষ্ট করে কাউকে জেলে রাখার কোনও অর্থ হয় না। সঞ্জয়ের মতো ধর্ষকের জন্য গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা খরচ করা অর্থহীন। এদের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিৎ।” কলকাতা বা রাজ্য পুলিশ সাম্প্রতিক একাধিক ধর্ষণের মামলায় সাফল্য পেয়েছে। দোষীদের ফাঁসির ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে তা হল না বলে আক্ষেপ অভিষেকের।
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের ঠিক পরেই ধর্ষকের এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অভিষেক। বলেন, “এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। সাত দিনের মধ্যে আইন করে এনকাউন্টার করে মারা উচিত দোষীকে।” শুধু তাই নয়, কড়া আইনের লক্ষ্যে রাজ্য বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ বিল পাস করে তৃণমূল সরকার। যেখানে ধর্ষণ কাণ্ডে দ্রুত বিচার ও ফাঁসির সাজার বিধান দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.