Advertisement
Advertisement

Breaking News

১০০ দিনের কাজে আধার কার্ড জোড়ার প্রতিবাদ

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাঁদের আধার কার্ড আছে, তাঁরাই ১০০ দিনের কাজের সুবিধা পাবেন৷ আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লিকে চিঠি দিচ্ছি৷” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এরাজ্যে এখনও চল্লিশ শতাংশ লোকের আধার কার্ড হয়নি৷ তাই এটাকে আবশ্যিক করলে খুব ভুল হবে৷

adhaar card mandatory for 100 days work, government protests
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 2, 2016 8:59 am
  • Updated:June 23, 2022 7:55 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ১০০ দিনের কাজে আধার কার্ডকে আবশ্যিক করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি এদিন দলের শীর্ষমহলের তরফে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারের দাবিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংসদে নিয়ে যাওয়ারও ইঙ্গিত মিলেছে৷ উল্লেখ্য, গত শনিবার বিধানসভায় শপথ গ্রহণের দিন নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদরা যে লোকসভা ও রাজ্যসভাতেও সরব হবেন, বুধবার তার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাঁদের আধার কার্ড আছে, তাঁরাই ১০০ দিনের কাজের সুবিধা পাবেন৷ আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লিকে চিঠি দিচ্ছি৷” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এরাজ্যে এখনও চল্লিশ শতাংশ লোকের আধার কার্ড হয়নি৷ তাই এটাকে আবশ্যিক করলে খুব ভুল হবে৷ “হান্ড্রেড পারসেন্ট মানুষের আধার কার্ড না হওয়া অবধি ১০০ দিনের কাজে একে ম্যান্ডেটরি করা যাবে না৷” নবান্নে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন পাশাপাশি একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের উপর তোপ দেগেছেন মমতা৷ তাঁর বক্তব্য, গত পাঁচ বছরে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু হয়েছে বাংলায়৷ পরে গোটা দেশ সেগুলি গ্রহণ করেছে৷ এই সব ক্ষেত্রে ভারতের পথনির্দেশক পশ্চিমবঙ্গই৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে তার সেই প্রাপ্য কৃতিত্ব না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করছে বা অন্যকে দিচ্ছে৷ উদাহরণ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, হরিয়ানা সরকার নাকি জাতীয় খাদ্য প্রকল্পে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়েছে৷ এটা সঠিক নয়৷ পশ্চিমবঙ্গ আগেই এই কাজ শুরু করেছে৷ আমাদের রাজ্যে ৮০ হাজার ভুয়া রেশন কার্ড ধরা হয়েছে৷ এটা তো খাদ্যশস্য বাঁচানোর সমান৷”
একইভাবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, পেনশন প্রকল্প– সব ক্ষেত্রেই এরাজ্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার ব্যবস্থা চালু হয় সবার আগে৷” কেন্দ্রর প্রতি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, “ কেন্দ্রীয় সরকার শুধু বড় বড় কথা বলে৷ মাঝে মাঝে আবার পাওনা টাকা আটকে দেয়৷ এই তো ক’দিন আগে ১০০ দিনের সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল৷ অথচ যত প্রকল্প, সবই তো রাজ্য সরকারই কার্যকর করে৷” এই প্রসঙ্গে এদিন থেকে দেশজুড়ে ‘সেস’ বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টানেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জুন মাস থেকে সেস চালু করা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশে৷ এই নির্দেশ অনুযায়ী ‘স্বচ্ছ ভারত’ ও কৃষি কল্যান’– এই দুই খাতে ০.৫ শতাংশ করে মোট এক শতাংশ বাড়তি পরিষেবা কর গুনতে হবে দেশবাসীকে৷ এই প্রসঙ্গের উল্লেখে তাঁর বক্তব্য, এই বাড়তি করের পুরো টাকাটাই কেন্দ্রের ঘরে জমা পড়বে৷ রাজ্য এক টাকাও পাবে না৷
এদিন নবান্নে রাজ্যের বিদ্যুত্‍ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে নতুন বিদ্যুৎমন্ত্রী ও দফতরের সচিব-আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানে রাজ্যের প্রতিটি ঘরে আলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি৷ রাজ্যে এ মুহূর্তে ৯৭ শতাংশ বিদ্যুদয়ন সম্পূর্ণ হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব এই কাজকে ১০০ শতাংশে পৌঁছে দিতে হবে৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ