শুভঙ্কর বসু: আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (কোর্ট) অশোক চক্রবর্তী। এবার হাই কোর্টের আরও দুই শীর্ষ আধিকারিক রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ভাস্কর ভট্টাচার্য ও রেজিস্ট্রার (লিস্টিং) কল্লোল চট্টোপাধ্যায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। সবচেয়ে ভয়ের কথা গত কয়েকদিন ধরে এই তিন আধিকারিক হাই কোর্টের একাধিক বিচারপতি ও আদালতের অন্য কর্মীদের সংস্পর্শে এসেছেন। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে হাইকোর্ট প্রশাসন। সকলকে চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষার কাজ করা সম্ভব কিনা তা নিয়েও ধন্দ দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, পরপর তিন শীর্ষ আধিকারিকের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত আদালত না বসলেও নির্দিষ্ট দিনে বেশ কয়েকটি এজলাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষ। সেইমতো আদালতের কর্মী ও আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নিজ দায়িত্বে সশরীরে শুনানিতে অংশ নিতে শুরু করেছেন আইনজীবীরা। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে অনেক ক্ষেত্রেই করোনা সংক্রান্ত শারীরিক দূরত্ববিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। আইনজীবী মহলের বক্তব্য, করোনার এই বাড়বাড়ন্তের সময় আদালতে সশরীরে শুনানি চালু থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় এড়ানো সম্ভব নয়। আর সেই সঙ্গেই সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে।
যদিও আপাতত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত হাই কোর্টের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ। রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, নতুন করে লকডাউন এবং কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু ১৯ তারিখের পর ফের আংশিকভাবে কোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নিয়েই চিন্তিত হাই কোর্টের কর্মী-আধিকারিক ও আইনজীবীদের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.