সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মারণ গেম ‘ব্লু হোয়েল’-এর খপ্পরে পড়ুয়া, এবার খাস কলকাতার বুকেই। শহরের এক নামজাদা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হানা দিল এই মারণ গেম। ‘নীল তিমি’র শিকার তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া। তবে সময় থাকতেই সজাগ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সিআইডির তৎরতায় জন্য প্রাণে বেঁচে গেল ওই ছাত্র। আত্মহত্যার আগের ধাপ থেকে ওই পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
[OMG! বাস্তবে ব্লু হোয়েল গেম বলে কিছুই নেই?]
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার একটি নামকরা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এই বিপজ্জনক খেলার মারণ নেশায় মেতে উঠে। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে বাবা-মা – প্রায় সকলকেই এড়িয়ে চলতে শুরু করে ওই ছাত্র। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তখনই ওই পড়ুয়ার হাতে তিমি আঁকা উলকি নজরে আসে। বপিদ আসন্ন বুঝতে পেরে অবিলম্বে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলেজের রেজিস্ট্রার। খবর যায় সাইবার ক্রাইম শাখার গোয়েন্দারে কাছে। জানা গিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওই ছাত্রের দফায় দফায় কাউন্সেলিং করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। ‘নীল তিমি’র ভয়াবহতা সম্পর্কে বোঝানো হয় ওই পড়ুয়াকে। গেমটির আটটি ধাপ পেরিয়ে অন্তিম ধাপ বা আত্মহত্যার পথেই যাচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই পড়ুয়া। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন গোয়েন্দারা।
বর্তমান বাবা-মার কাছেই রয়েছেন ওই পড়ুয়া। তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, তদন্তে নেমে পড়েছেন সাইবার ক্রাইম শাখার গোয়েন্দারাও। গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পর ওই পড়ুয়া জানায়, এই মারণ গেমের ভয়াবহতা বুঝতে পেরেছে সে। মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্র।
[এবার আইআইটি খড়গপুরে হানা দিল মারণ ‘ব্লু হোয়েল’!]
ভিনদেশের গণ্ডি পেরিয়ে এর আগেও রাজ্যে হানা দিয়েছে মারণ ‘ব্লু হোয়েল’ গেম। মেদিনীপুরের আনন্দপুরে এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য এই গেমকেই দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও তিন ছাত্রীর হাতে কাটা দাগকে কেন্দ্র করে ব্লু হোয়েলের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল খড়গপুর আইআইটি চত্বরে অবস্থিত একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। রাজ্যের কচিকাঁচাদের এরকম ভয়াবহ ইন্টারনেট গেম, অ্যাপস থেকে দূরে রাখার জন্য দ্রুত কাউন্সেলিং শিবিরের আয়োজন করতে চলেছে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুল ফর আইএসসি’-র পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের এক্সিকিউটিভ কমিটি। রাজ্য জুড়ে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫টি আইসিএসই স্কুলকে এই ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হবে। স্কুল প্রতি দু’জন করে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক আসবেন ওয়ার্কশপে। তবে এটি কবে, কোথায় হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্তারা। তবে অন্যান্য জেলার পর এবার এই শহরেও নীল তিমির হানার খবরে উদ্বিগ্ন বহু ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.