Advertisement
Advertisement

বিরিয়ানির সঙ্গে ঘুমের মাদক পাচার হয়েছিল আলিপুর জেলে?

বন্দি পালানোর ঘটনায় নজরে আইনজীবী, সরলেন দুই জেল কর্তা।

Alipore jail prison break escape plan revealed!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 16, 2018 3:37 am
  • Updated:January 16, 2018 3:37 am

স্টাফ রিপোর্টার: বিরিয়ানির প্যাকেটের মধ্যে করেই কি পাচার হয়েছিল ঘুমের মাদক? এমনকী, ‘হ্যাক-স’ বা করাতের ছোট টুকরোও কি এসেছিল সেই প্যাকেটের মধ্যে করেই? গত ১২ জানুয়ারি বারুইপুর আদালত থেকে বের হওয়ার সময় পলাতক বন্দি ফারুকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বিরিয়ানির প্যাকেট। দু’একজন পুলিশকর্মীর আপত্তি সত্ত্বেও এক আইনজীবীর অনুরোধে কোনওমতে রাজি হয়ে যান অন্য পুলিশকর্মীরা। হাতে খোলা বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়েই প্রিজন ভ্যানে উঠেছিল ফারুক। তারপরই শনিবার রাতে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন সহবন্দিকে ঘুমের মাদক মেশানো জয়নগরের মোয়া খাওয়ায় তিন বাংলাদেশি বন্দি ফিরদৌস, ফারুক ও ইমন চৌধুরি। তদন্ত চলাকালীন এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

[মিছিলে গণ্ডগোল হলে দায় বিজেপির, সাফ কথা কলকাতা হাই কোর্টের]

Advertisement

ঘটনার জেরে বারুইপুর আদালতের এক আইনজীবী ও তাঁর কয়েকজন পরিচিত এবার গোয়েন্দাদের নজরে চলে এসেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এদিকে, তিন বাংলাদেশি বন্দির জেল পালানোর ঘটনার জেরে সরলেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের সুপার সৌমিক সরকার। তাঁকে মেদিনীপুর জেলে পাঠানো হল। জেলার শিবাজি রায়কে পাঠানো হল বাঁকুড়া জেলে। এদিন কারা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি জেলকে নির্দেশ দিয়েছে, বিচারাধীন বন্দিরা জেলে ঢোকার সময় যেন তাদের প্রত্যেককে ভাল করে পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

[ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে মডেলের ‘শ্লীলতাহানি’, অভিযুক্ত অটোচালক]

শনিবার রাতের অন্ধকারে ওয়াচ টাওয়ার লাগোয়া পাঁচিল টপকে জেল থেকে পালায় ৩ বিচারাধীন বন্দি ফিরদৌস, ফারুক ও ইমন। রবিবার সাতসকালে এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। জেলে রাতে ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। এর পরই প্রশ্ন ওঠে জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারি নিয়ে। জানা যায়, আলিপুর জেলের গেটের স্ক্যানার খারাপ। সেই স্ক্যানার সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ততদিন বিচারাধীন বন্দিদের কার্যকলাপের উপর কারারক্ষীদের নজর বাড়াতে বলা হয়েছে। এই কাজে জেলের কিছু সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বা ‘মেট’কেও কাজে লাগানো হচ্ছে। জেলের প্রত্যেকটি জানালার গরাদ নতুন করে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আলো ও সিসিটিভির সংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা দপ্তর।

[শহরে এক নতর্কীর রহস্যমৃত্যু, ভিআইপি রোডের আবাসন থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ