সুব্রত বিশ্বাস: টেমসের জলরাশি যেন আছড়ে পড়ল হুগলি নদীর উপর। দুইয়ের মেলবন্ধনে একাকার হয়ে গেল দু’দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষ্টি সবই। লন্ডনের সঙ্গে কলকাতার মিল অনেকাংশে রয়েছে। অমিলও প্রচুর। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বহু মিল সেখানকার নগরীর। এই মিলের মিশেল ঘটাতে দু’দেশের শিল্পীরা তাঁদের দেখা বৈশিষ্ট্যগুলিকে তুলিতে ধরে রাখলেন। ‘সিল্ক রিভার ইন্ডিয়া ওয়াক’ এই নামের মধ্যে দু’দেশের মেলবন্ধনের সঙ্গে তুলে ধরলেন পরিবেশের সামঞ্জস্য। বৃহস্পতিবার দু’দেশের শিল্পীরা হাওড়া স্টেশন পরিক্রমা করেন। হাতে ৬ মিটারের হাতে আঁকা সিল্ক স্কোরল। দু’দেশের পরিবেশের কতটা মিল তা দেখানো হয়েছে। হাওড়ার সঙ্গে মিল সেখানকার ডার্টফোর্ডের। হাওড়ায় হুগলি নদী, মাছ বাজারের, ফুল বাজার ফরশোর রোডের মতো পরিবেশ ডার্টফোর্ডেও। একই আঙ্গিকে।
লন্ডনের কাইনেটিকা আর্ট সংস্থার আর্টিস্টিক ডিরেক্টর আলি প্রেটি জানান, ১৯৮৫-র পর কলকাতা এসে আপ্লুত হয়ে গিয়েছি। প্রতিটি মুহূর্ত আমায় আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এ যেন এক খণ্ড লন্ডন। আগামী দিনে আরও ভাল হবে কলকাতা। হাওড়া স্টেশনও সেখানকার স্টেশনের মতো করিডর। প্রচুর লোক শহরে আসছেন যাচ্ছেন। ভিড় সুন্দর। ৬ ডিসেম্বর থেকে দু’দেশের শিল্পীরা পরিবেশ গত মেলবন্ধনের চিত্র এঁকে চলেছেন। মুর্শিদাবাদের সঙ্গে গ্রেভসেন্ড, কৃষ্ণনগরের সঙ্গে সাউদেন্ড, চন্দননগরের সঙ্গে বারকিং এবং দাগেনহামের, বারাকপুর, শ্রীরামপুরের সঙ্গে গ্রিনউইচ, উলউইচের, জোড়াসাঁকোর সঙ্গে পারফ্লিটের, বড়বাজারের সঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটসের, খিদিরপুরের সঙ্গে টিলবুরির, বাটানগরের সঙ্গে ইস্ট টিলবুরির, বোটানিক্যাল গার্ডেনের সঙ্গে কিউগার্ডেনের মিল। সিল্ক স্ক্রিনে দু’দেশের কনটেমপোরারি চিত্রে মেলবন্ধ ঘটাতে দশদিন ধরে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের ওই স্থানগুলিতে ঘুরে ছবি আঁকা, আলোচনা, সেমিনার, পথ পরিক্রমা করে আসছেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দু’দেশের মিলের এই চিত্রকলা প্রদর্শিত হবে।
অভিজ্ঞতার কথা ব্রিটিশ শিল্পীদের মুখ থেকেই শুনুন-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.